কাগজ প্রতিবেদক : পদ্মায় স্রোতের তীব্রতা না কমা পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের ফেরিতে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেতুর ১০ নম্বর পিলারে গত সোমবার সন্ধ্যায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ধাক্কা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি জানান, শুধু প্রাইভেট কার, অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাসের মতো ছোট যানবাহন নিয়ে এখন থেকে ওই রুটে ফেরি চলবে। আর যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ ভারী যানবাহন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও চাঁদপুরের হরিণা ও শরীয়তপুরের আলুবাজার নৌরুট দিয়ে নদী পারাপার হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের মর্যাদার স্থাপনা, আত্মসম্মানের অনুভূতি। এ সেতুর পিলারের সঙ্গে ফেরির সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা বিব্রত ও দুঃখিত। এটি বারবার হোক, সেটা চাই না। তিনি বলেন, আমরা আগের দুর্ঘটনার সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করে বুঝতে পেরেছি যে, তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চালানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি ফেরির লোড বেশি হয়, তবে ফেরিটি নিয়ন্ত্রণ করাও মুশকিল। তাই স্রোত না কমা পর্যন্ত হালকা যানবাহন নিয়ে ফেরি চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।