গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

ফেরির নকশা প্রতিযোগিতায় ৩য় বাংলাদেশের ৪ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : একটি নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ফেরির জন্য আন্তর্জাতিক ডিজাইন প্রতিযোগিতা-২০২১-এ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরমেবি) চারজন শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। গত ১৫ জুলাই ওয়ার্ল্ড ফেরি সেফটি এসোসিয়েশন অষ্টম আন্তর্জাতিক ডিজাইন প্রতিযোগিতা ফল প্রকাশ করে। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ৪ সদস্যের দলটিতে দলনেতা ছিলেন বুয়েটের নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী রৌনক সাহা নিলয়। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- বুয়েটের একই বিভাগের শিক্ষার্থী পরমা রায় চৌধুরী, মোহাম্মদ আবরার উদ্দিন ও বশেমুরমেবির নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড আফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম। দলটিতে ফ্যাকাল্টি এডভাইজার ছিলেন বুয়েটের নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. জোবায়ের ইবনে আউয়াল ও নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটির (সিঙ্গাপুর ক্যাম্পাস) সহকারী অধ্যাপক ও ডিগ্রি প্রোগ্রাম পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান।
জানা গেছে, ওয়ার্ল্ড ফেরি সেফটি এসোসিয়েশনের লক্ষ্য ফেরি চলাচলে প্রাণহানি এবং দুর্ঘটনা হ্রাস করা। এবার শিক্ষার্থীদের ৩০০ যাত্রীবাহী রোপ্যাক্স ফেরির নকশা করতে বলা হয়, যা ব্রাজিলের অ্যামাজন নদীর মানাস বন্দর থেকে টেফে বন্দর পর্যন্ত ২০ ঘণ্টার মধ্যে অতিক্রম করবে। একই সঙ্গে ছোট আকারের গাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং কৃষিজপণ্য পরিবহন করবে। মোট যাত্রীর ৩৫ শতাংশ আউটডোর হ্যামক এবং বর্তমানে কোভিড-১৯ রোধকল্পের দিকে দৃষ্টি দিতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের তৈরিকৃত ফেরির নকশা টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। এতে সোলার প্যানেল, বৃষ্টি সংরক্ষণ ব্যবস্থা, হাইব্রিড প্রোপালশন সিস্টেম, হাইড্রোফয়েল ব্যবহার করা হয়েছে। হাইড্রোফয়েলের কারণে নৌযানটির ড্রাফট কমানো সম্ভব হয়, যার কারণে জ্বালানি খরচ কম হয়। ব্রাজিলের ফেরি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা। এজন্য নকশায় আরএফআইডি সমন্বিত গেট রাখা হয়েছে। ১৯৮৭ সালের হেরাল্ড অব ফ্রি এন্টারপ্রাইজের ট্র্যাজেডির কথা মাথায় রেখে নকশা করা হয় যেন বাও র‌্যাম্প ঠিকমতো বন্ধ না হলে ইঞ্জিন সচল না হয়।
সহজে কার্গো পরিবহনের জন্য ফ্যাল্ট র‌্যাক এবং ট্রলি রাখা হয়েছে। নকশায় প্রয়োজনমাফিক এক্সিট ডোর এবং লঅইফর‌্যাফট রয়েছে। এতে রয়েছে গরম জলকামান, অ্যালারমিং সিস্টেম, স্টেয়ারকেস লকিং সিস্টেম, যা জলদস্যুদের হাত থেকে নৌযানটি রক্ষা করবে। যাত্রীদের যাতায়াতে আরামের জন্য চাইল্ড কেয়ার রুম, জরুরি মেডিকেল কেয়ার রুম, প্ল্যাটফর্ম লিফট (বয়স্ক ও হুইল চেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য) রয়েছে। ডিজইনফেকশন টানেল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রবেশ মুখে রাখা হয়েছে। দুটো সিটের মাঝখানে স্বচ্ছ পিভিসি পার্টিশন ব্যবহার করা হয়েছে মহামারি করোনার জন্য। নৌযানটি মেরিন লিডার ব্যবহার করা হয়েছে, যা নদীর নাব্যতা এবং নদীতে থাকা ভগ্নাবশেষ শনাক্ত করতে পারবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়