কাগজ প্রতিবেদক : নতুন অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম মাস জুলাইয়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যা গত জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব জয়নুল বারী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জুন মাসের বিধিনিষেধে নিত্যপণ্য পরিবহনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে জুনে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে জুনের পরিবর্তে জুলাইয়ে সবকিছুর দাম স্বাভাবিক থাকায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। অন্যান্য মাসে মূল্যস্ফীতি এক খাতে কমলে আরেক খাতে বাড়ে। কিন্তু জুলাইয়ে সব খাতেই মূল্যস্ফীতি কমেছে। এ মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। যা জুনে ছিল ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। খাদ্যে জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, যা জুনে ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত খাতে জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। যা জুনে ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জুলাইয়ে খাদ্যবহির্ভূত ও খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার কমার ফলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে।