গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

খুলনায় মন্দির ভাঙচুর : গ্রেপ্তারকৃত ১১ জন দুদিনের রিমান্ডে, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাবুল আকতার, খুলনা থেকে : খুলনা রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামের কয়েকটি মন্দির ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। খুলনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক মো. সাইফুজ্জামান গতকাল মঙ্গলবার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন। এদিকে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘটনের জন্য খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ৩১ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর, শিয়ালী গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের কিছু লোক একসঙ্গে ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের ঘরের মালামাল লুট করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। একপর্যায়ে তারা মহাশ্মশান মন্দির, পূর্বপাড়া সার্বজনিন মন্দির ও মন্দিরের ভেতরের কিছু মূর্তি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পূজা উদযাপন পরিষদের শক্তিপদ বসু বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। রবিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চায়। ওই দিন রিমান্ড না দিয়ে আদালত শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠান। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে আদালত গতকাল মঙ্গলবার আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শরীফুল ইসলাম, শেখ মঞ্জুরুল আলম, শরিফুল শেখ, আকরাম ফকির, সোহেল শেখ, জামিল বিশ্বাস, শামিম শেখ, স¤্রাট মোল্লা ও মমিনুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, শিয়ালী গ্রামের পূর্বপাড়া মসজিদের ইমাম নাজিমকে লাঞ্ছিত, মসজিদের ভেতরে থাকা মুসল্লিদের ইট নিক্ষেপ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে ৬ আগস্ট রাতে এশার নামাজের সময়। একদিন পর মন্দির এবং দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়