কাগজ ডেস্ক : জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নস। গুরুতর অসুস্থ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তিনি। ৫১ বছর বয়সি এই কিউই সাবেক ক্রিকেটার থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছেন না চিকিৎসকরা। বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টার অংশ হিসেবে চিকিৎসকরা তাকে রেখেছেন লাইফ সাপোর্টে। সেখানে তাকে পর্যবেক্ষণ করছে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড।
কাজের সুবাধে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা ক্রিস কেয়ার্নস হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে ও জ্ঞান হারালে তাকে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ডাক্তাররা জানান, হৃদযন্ত্রের জটিল সমস্যায় ভুগছেন কেয়ার্নস। তার আওরটিক ডিসসেকশন হয়েছে বলে জানানো হয় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কেয়ার্নসের হৃদযন্ত্রে গুরুতর সমস্যা ধরা পড়েছে।
এদিকে ক্রিস কেয়ার্নসের বিষয়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড থেকে জানানো হয়, ক্রিস কেয়ার্নসের অসুস্থতা নিয়ে তার পরিবার গোপনীয়তা রাখতে চাইছে, সেটিকে আমরা সম্মান করি। তাই দেশের প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের শরীরের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন, সে ব্যাপারে তাদের কোনো ধারণা নেই বলে জানান কিউই বোর্ড। ক্রিস কেয়ার্নসকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের ইউনিয়নও।
১৯৮৯ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলে অভিষেক ক্রিস কেয়ার্নসের। তারপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত কিউই ক্রিকেটে দলে পদচারণা ছিল তার। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স করে দলকে এনে দিয়েছিলেন বেশ কিছু জয়। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪৯৫০ রান করেছিলেন তিনি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দেশের হয়ে ২০১টি উইকেটও নিয়েছেন ক্রিস। আবার পাঁচ দিনের ক্রিকেটেও তিনি ছিলেন অনবদ্য। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬২টি টেস্ট ম্যাচ খেলা ক্রিস এই ফরমেটে ৩৩২০ রান করেছেন। লাল বলের ক্রিকেটে পাঁচটি শতরান হাঁকানো কেয়ার্নসের সর্বোচ্চ স্কোর ১৫৮। টেস্টে ২১৮টি উইকেটও রয়েছে কিউই অলরাউন্ডারের। তবে অবসর নেয়ার পূর্বে খুব বেশি টি-টোয়েন্টি খেলতে পারেননি ক্রিস কেয়ার্নস। দেশের হয়ে মাত্র ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ৩ রান করার পাশাপাশি একটি উইকেট নিয়েছেন। কেয়ার্নসের বাবা ল্যান্স কেয়ার্নসও নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।