নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

৭ প্রতারক গ্রেপ্তার : ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে ওরা

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গার্মেন্টস ব্যবসায়ী পরিচয়ে বিভিন্ন রেন্ট-এ-কার বা ব্যক্তির কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া করে চক্রটি। পরে তা মূল মালিকদের অগোচরে বিক্রি করে গা ঢাকা দেয় তারা। স¤প্রতি এমন ২২টি ভাড়া করা গাড়ি বিভিন্ন ক্রেতার কাছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকায় বিক্রি করে আত্মগোপনে চলে যায় প্রতারক চক্রটি।
সংঘবদ্ধ গাড়ি প্রতারক চক্রের হোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. আব্দুল কাইয়ুম ওরফে ছোটন ওরফে ইসতিয়াক ওরফে মেহেদী হাসান, আ. আলী মিজি ওরফে আ. হাই, মো. নাজমুল হাসান, মো. সানি রহমান, মো. সাজরাতুল ইয়াকিন রানা, আলমগীর শেখ ও মো. সেলিম। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৭টি গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে গার্মেন্টস কোম্পানির নামে গাড়িভাড়া করে প্রতারণার মাধ্যমে অন্যত্র বিক্রির ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি সিআইডির নজরে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির এলআইসি শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে।
তদন্তের একপর্যায়ে জানা যায়, মো. আব্দুল কাইয়ুম ওরফে ছোটন ওরফে ইসতিয়াক ওরফে মেহেদী হাসান ও তার চক্রের সদস্যরা জিএমপির গাছা থানাধীন একটি চারতলা ভবনের ৩য়-৪র্থ তলায় স্থাপিত এ কে ফ্যাশনস পোশাক কারখানার নামে ২২টি গাড়ি ভাড়া করে। পরবর্তী সময়ে তারা প্রতারণার মাধ্যমে গাড়িগুলো বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিক্রি করে। গাড়ি বিক্রির ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারক চক্রটি আত্মগোপনে যায়। তদন্তের একপর্যায়ে প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করা গেলে রাজধানীর উত্তরা, মানিকগঞ্জ, দিনাজপুর, রংপুর ও খুলনার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আব্দুল কাইয়ুম গাজীপুরে প্রত্যাশা নামক এনজিও’তে চাকরি করতেন। সেখানে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতার কারণে তার চাকরি চলে যায়। এরপর তিনি গাজীপুরের গাছা থানাধীন একটি ৪তলা বাড়ির ৩য় ও ৪র্থ তলায় এ কে ফ্যাশনস নামে পোশাক কারখানা স্থাপন করেন। সেখানে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতনে ২১০ শ্রমিককে নিয়োগ দেন। চলমান করোনা ও লকডাউনের মধ্যে তিনি বিদেশি ক্রেতাদের পরিবহনের কথা বলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে ২২টি গাড়ি ভাড়া নেন। পরে গাড়িগুলো অবৈধভাবে বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেন। এর আগে তিনি সব গাড়ির জিপিএস সিস্টেম অকেজো করে দেন।
মুক্তা ধর বলেন, আব্দুল কাইয়ুম ছোটনের এই গার্মেন্টস স্থাপনের মেয়াদ ছিল মাত্র তিন মাস। মূলত প্রতারণার জন্যই তিনি গার্মেন্টস ব্যবসাকে কাজে লাগান। যখন প্রতারণার বিষয়টি ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারেন তখন তিনি যাদের কাছে গাড়ি বিক্রি করেছেন তাদের ঠিকানা দেন। তিনি বলেন, চক্রটি ৩০ থেকে ৩৫টি গাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রতারণা করেছে।
প্রতারক ছোটনের ফাঁদে নিজের গাড়ি খুইয়েছিলেন রাজধানী ধানমন্ডির অনু চৌধুরী। তিনি বলেন, গার্মেন্টেসের বিদেশি ক্রেতাদের পরিবহনের জন্য আমার এক্স করোলা মোডেলের গাড়িটি মাসিক ২৭ হাজার টাকায় ভাড়া নেয়া হয়। কিন্তু এক মাসের ভাড়াও পাইনি। গাড়িটি নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় প্রতারক ছোটন। পরে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ করি। সিআইডির সহযোগিতায় গাড়িটি ফেরত পেয়েছি। ভুক্তভোগী মিরপুরের বিউটি আক্তারও তার এক্সিও গাড়িটি দেড় মাস পর ফিরে পান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়