নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

মায়ের পরকীয়া : প্রেমিককে হত্যা, ছেলে কারাগারে

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : দূর সম্পর্কের চাচা নবী হোসেনের সঙ্গে মায়ের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পর্কের জেরে মা-বাবার বিচ্ছেদ কোনোভাবে মানতে পারছিলেন না ছেলে। তাই প্রতিশোধ নিতে কৌশলে মায়ের প্রেমিক নবী হোসেনকে দাওয়াতের কথা বলে ভৈরব থেকে একটি প্রাইভেট কারে তুলে কুমিল্লায় নিয়ে যান ছেলে সাব্বির। সেখানে গাড়ির ভেতরেই নবী হোসেনকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে গাড়িতে করেই সেই লাশ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার একটি জঙ্গলে ফেলে দেন। ঘটনার ১০ মাস পর খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছেলে আশরাফুল হক সাব্বির (২৩) ও তার মা শিউলি বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের একটি দল। গত রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগের দিন মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের একটি বাসা থেকে সাব্বির ও তার মা শিউলী বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই সূত্র জানায়, শিউলি বেগমের স্বামী আনোয়ার সৌদি প্রবাসী। তাদের বাড়ি ভৈরবের ছাগাইয়া গ্রামে। স্বামী আনোয়ারের মামাত ভাই নবী হোসেনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন শিউলি। এরই মধ্যে ওই নারী স্বামী আনোয়ারকে তালাক দিয়ে নবী হোসেনকে বিয়ে করেন। মায়ের অসম প্রেম ও দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনাটি সহ্য করতে পারেননি ছেলে সাব্বির। তাই প্রতিশোধ নিতে নবী হোসেনকে খুনের পরিকল্পনা করেন সাব্বির। গত বছরের ১৬ অক্টোবর দাওয়াতের কথা বলে ভৈরবের বাসা থেকে নবী হোসেনকে কৌশলে গাড়িতে তুলে নেন সাব্বির। পরে গাড়িতেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় নবী হোসেনকে। ওই গাড়িতে মরদেহ নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে পটিয়ায় জঙ্গলে ফেলে দেন সাব্বির। সাব্বিরের দুই বন্ধু তুষার ও আশিক তাকে সহযোগিতা করেন। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে পটিয়া থানা পুলিশ। মরদেহের পকেটে থাকা আইডি কার্ডের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারকে খবর দেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করে। নিহতের ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআইকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, পিবিআই মামলাটির তদন্তভার নেয়ার পর গোপন তথ্য পেয়ে প্রাইভেট কারের চালক আশিক ও হেলপার সুমনকে গত বছর ২৩ অক্টোবর ভৈরবের দুটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তারা দুজন চট্টগ্রাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার ঘটনাটি স্বীকার করেন। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার গভীর রাতে সাব্বির ও তার মা শিউলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়