নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী : টিকা নিয়ে অপপ্রচার জনস্বার্থবিরোধী অপরাধ

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার জনস্বার্থবিরোধী প্রচারণামূলক অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, টিকা নেয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই করোনা মোকাবিলার এখন পর্যন্ত একমাত্র পথ। এ কারণে জনস্বার্থে টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই টিকার বিরুদ্ধে যখন অপপ্রচার হয় সেটা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, জনস্বার্থের বিরোধী। অর্থাৎ মির্জা ফখরুলসহ এই টিকার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা জনস্বার্থবিরোধী কাজ করছেন। জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচার যদি কেউ চালায় সেটা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
টিকা দলীয়করণের বিষয়ে ড. হাছান বলেন, রাজনীতি একটা ব্রত। জনগণের কল্যাণের জন্যই রাজনীতি। বিএনপির কাছে অবশ্যই তা নয়। বিএনপির রাজনীতির ব্রত ভিন্ন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা করোনার শুরু থেকেই দলের নেতাকর্মীদের যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তাতে আওয়ামী লীগের এমপি থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে থেকেছে। দল থেকে ২ কোটির বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৫ জন সদস্যসহ সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী করোনা ভাইরাসে মারা গেছে। আমাদের দলের ১৩০ জনের বেশি সাংসদ, মন্ত্রিসভার এক-তৃতীয়াংশের বেশি সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। এগুলো জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই টিকা নেয়া যাবে। আগে নিবন্ধন করতে হতো। গ্রামের মানুষ নিবন্ধন করতে জানে না। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে নিবন্ধন কাজে সহায়তা করেছে। এখানে কি দোষ দেখল বিএনপি! তারাও তো এই কাজটি করতে পারত।
ড. হাছান বলেন, টিকা সার্বজনীনভাবে দেয়া হচ্ছে। এখানে কে কোন দল বা মতের সেটি দেখা হচ্ছে না। সরকার স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে এই টিকা দিচ্ছে। সেখানে কোনো দলকে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত করা হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা টিকা দিচ্ছে। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে। যাতে টিকা নেয়। ফখরুল ইসলামের কাছে আমার প্রশ্ন- এটি কি গর্হিত কাজ? তারা তো জনগণকে উদ্বুদ্ধ না করে বরং জনগণ যাতে টিকা না নেয়, সেই অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যেটি জনস্বার্থের বিরুদ্ধে।
লকডাউন তুলে দেয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্রমাগত লকডাউন সমাধান নয়। আমাদের খেটে খাওয়া মানুষের এই দেশে জীবন এবং জীবিকার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এখন যেটি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, সেটি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক পরা এবং মাস্ক না পরলে যাতে সহজে জরিমানা করা যায় সেটিও সরকার ভাবছে। স্কুল-কলেজ এখনই খুলছে না। গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইউরোপ- আমেরিকাতেও করোনা আছে। এরপরও জীবন স্বাভাবিক করতে সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়