বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর থেকে : অবশেষে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকার জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের জলাধারে আটকে পড়া সেই কুমিরটিকে পাকড়াও করেছে এলাকাবাসী। সোমবার দুপুরে ওই কুমিরটি জলাধারের কাছে হাঁস খেতে এলে এলাকাবাসী দেখে সবাই একসঙ্গে হয়ে কুমিরটিকে আটকে ফেলে। বর্তমানে কুমিরটিকে জাল দিয়ে জড়িয়ে রাখা হয়েছে। এটি ৭ ফুট লম্বা, প্রস্থে দেড় ফুট।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কুমিরটিকে নিতে খুলনা থেকে প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ফালুর খাল হিসেবে পরিচিত ওই জলাধারে গত ২৪ জুলাই কুমিরটিকে দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে গত ২৮ ও ৩১ জুলাই কুমিরটিকে ধরতে দুই দফা অভিযান চালান প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা। তবে দুটি

অভিযান পরিচালনা করা হলেও কুমিরটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, জলাধারটির এলাকা ভেদে গভীরতা ৫ মিটার থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত। এত দিন কুমিরের ভয়ে আতঙ্কিত সময় কাটাচ্ছিলেন চর এলাকার বাসিন্দারা। গত ২৪ জুলাই সকালে কুমিরটি চর এলাকার ওই জলাধারে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর মাইকিং করে সর্বসাধারণকে ওই জলাশয়ে না নামার পরামর্শ দেয়া হয়। দুটি অভিযানে এর আগে জাল দিয়ে বেশ কয়েকবার কুমিরটি ধরার চেষ্টা করা হয়। কুমিরটি জালে আটকা পড়লেও প্রতিবারই জাল ছিঁড়ে বের হয়ে যায়।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, কুমিরটি ধরার জন্য এর আগে দুটি অভিযান ব্যর্থ হয়। ফলে এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কুমিরটিকে এলাকাবাসী দুপুরে ধরে ফেলে। কুমিরটিকে নিতে খুলনা থেকে প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তারা এলে কুমিরটিকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।