মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞাকালীন সাগরে মাছ না ধরা জেলেদের সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির সময় মৎস্যজীবীদের সহায়তা হিসেবে সরকার মাসে পরিবারপ্রতি ৪০ কেজি হারে ৬৫ দিনে ৮৬ কেজি চাল বরাদ্দ করে। সরকারি বিধিমতে, ইউনিয়ন টাস্কফোর্স কমিটি জেলেদের খসড়া তালিকা করে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির কাছে জমা দিলে উপজেলা কমিটি তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়ার কথা। অনুমোদিত তালিকা দেখে জেলেদের ৮৬ কেজি চাল বিতরণ করবে ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো চাল বিতরণ করেন নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু।
জানা গেছে, গত সোমবার জেলেদের নিষেধাজ্ঞাকালীন ৬৫ দিনের সরকারি সহায়তার ৮৬ কেজি চালের প্রথম ধাপে ৫৬ কেজি চাল বিতরণ করার কথা নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের। এ সময় অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী জেলে অভিযোগ করে বলেন, তালিকা ছাড়াই চেয়ারম্যান নিজের আস্থাভাজনদের দিয়ে মনগড়া ১৬৭ জনের তালিকার প্রত্যেককে ৫৬ কেজির পরিবর্তে ৫০ কেজির এক বস্তা করে আবার দুজনকে এক বস্তা করে চাল বিতরণ করেন। এছাড়া চাল বিতরণের সময় সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার উপস্থিত না থাকা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবহিত না থাকার বিষয়টিও উঠে আসে ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে।এ বিষয়ে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির বাগেরহাট জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন শেখ বলেন, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চাল বিতরণে বহু অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন সহায়তা দেয়ার তালিকা করার ক্ষেত্রে উৎকোচ গ্রহণ করা, প্রকৃত অনেক মৎস্যজীবীকে বাদ দিয়ে মনগড়া তালিকা করে চাল বিতরণ এবং ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু জানান, তিনি প্রকৃত জেলেদের মধ্যে ১৬৭ জনকে জনপ্রতি ৫৬ কেজি চাল দিয়েছেন।
অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার।