শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি : চলতি সপ্তাহেই শতভাগ শিক্ষক টিকার আওতায়

আগের সংবাদ

উৎসবের গণটিকায় বিশৃঙ্খলা

পরের সংবাদ

কালীগঞ্জে অসময়ের শিম চাষে বাজিমাত

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বেলাল হুসাইন বিজয়, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) থেকে : মাঠের পর মাঠজুড়ে শিমক্ষেত। সেই ক্ষেতেই সদ্য ফোটা শিম ফুলে যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছড়ায় ছড়ায় ঝুলছে শিম। সেই ক্ষেতের কাজ করছেন কৃষকরা।
মহামারি করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও তাদের কণ্ঠে যেন বইছে আনন্দের সুর। চোখে পড়ার মতো এমন দৃশ্যটি এখন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবিতপুর গ্রামের মাঠে।
ক্ষেতে কাজে এসে প্রচণ্ড রোদে পুড়লেও নেই তাদের কোনো ক্লান্তি। কারণ এবারের অসময়ের শিম চাষে বাম্পার মূল্য পাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকদের ভাষ্য, এ শিমগাছ বৃষ্টি সহিঞ্চু। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি শিম ১০০ থেকে ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাবে এবার প্রতি বিঘায় খরচ বাদে তারা প্রায় লাখ টাকা আয় করবেন বলে তারা আশাবাদী।
সরেজমিন উপজেলার রাখালগাছী ইউনিয়নের সুবিতপুর গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক কৃষকই তাদের ক্ষেতে অসময়ের শিমের চাষ করেছেন। ওই গ্রামের সবজিচাষি বাপ্পারাজ জানান, শিম সাধারণত শীতকালীন সবজি। এর আগে বর্ষাকালে চাষ হতো না।
কিন্তু ভিন্ন জাতের এ শিম এখন বারো মাস চাষ করা যায়। তিনি এবার ৪ বিঘা জমিতে এ ভিন্ন জাতের শিম চাষ করছেন। তার মতো তাদের গ্রামের কৃষক রফি উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, হাসেম আলী, ইমরান হোসেন, হারুন অর রশিদ, রহমত, পান্নু রহমান,আব্দুল সাত্তারসহ অনেক কৃষক প্রায় অর্ধশত বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ জাতের শিম চাষ করছেন।
ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামসহ শিম আবাদ করা কৃষকরা জানান, অসময়ের আবাদ করা এ শিম নতুন সবজি হিসেবে বাজারে বেশ চাহিদা। দামও বেশি থাকে। ক্ষেতেও ভালো ফলন হচ্ছে। তারা জানান, প্রতি বিঘা শিম আবাদে বীজ, সার, কীটনাশক ও মাচার টাল দেয়া বাবদ প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। শ্রাবণ মাসের প্রথমদিকে এ শিমের বীজ রোপণ করতে হয়।
পরবর্তী সময়ে চারা গজানোর ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় ফুল আসে। এরপর দেড় মাস পর থেকেই শিম তোলা শুরু হয়। একটানা ৬ মাস পর্ষন্ত ক্ষেত থেকে শিম উঠানো যায়।
তারা আরো জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে শীত মৌসুম শুরু হলেই এ শিমের বাজারমূল্য কমে যাবে। তারপরও সব মিলিয়ে তাদের জমিতে অসময়ের এ শিম চাষে বিঘাপ্রতি প্রায় লাখ টাকা মুনাফা পাবেন বলে আশাবাদী।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিকদার মোহায়মেন আক্তার জানান, এ বছর উপজেলার বেশ কিছু এলাকার কৃষকরা জমিতে শিমের চাষ করেছেন। অসময়ের শিম হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছেন। ফলে কৃষকরা দিন দিন শিম চাষে ঝুঁকছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়