জন্মদিন : প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যচিন্তা

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর চোখে বঙ্গমাতা

পরের সংবাদ

শ্যালিকার সঙ্গে প্রেম করে স্ত্রীকে হত্যা, কঙ্কাল উদ্ধার

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. শফিক চৌধুরী, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) থেকে : ঢাকার কেরানীগঞ্জে শ্যালিকার সঙ্গে প্রেম করে স্ত্রীকে হত্যার ১০ মাস পর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনসহ কঙ্কাল উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্বামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তেঘরিয়া ইউনিয়নের কদমপুর এলাকার ভাড়া বাসার পাশের পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে স্ত্রী মোহনার মরদেহের হাড়, মাথার খুলি, চুলের কিছু অংশ ও ব্যবহৃত কাপড়সহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখ থেকে মোহনা নিখোঁজ। এ ঘটনা শুনে মোহনার মা রহিমা বেগম বিদেশ থেকে ফিরে আসেন এবং ১৪ জুন ২০২১ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে ওইদিনই মামলার এক নম্বর আসামি ইকবাল ও রহিমা বেগমের ছোট মেয়ে আরিফাকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সাইফুল আলম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৫ জুন ইকবালের ভাড়া বাসার পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে একটি হাড়ের সন্ধান পায় পুলিশ। এরপর সেটিকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল।
এ ঘটনায় পর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সর্দারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সাইফুল আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে যত দ্রুত সম্ভব এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত বৃহস্পতিবার আবার ওই পুকুরে অভিযান চালিয়ে জাল টেনে নিহত মোহনার হাড়গোড়, মাথার খুলিসহ চুল, জমাটবাঁধা মাংসের টুকরা, ব্যবহৃত কাপড়চোপড়সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
এসআই মো. সাইফুল আলম বলেন, মামলার তদন্তভার আমার ওপর ন্যস্ত হওয়ার পর থেকে এ মামলার জন্য দীর্ঘ পরিশ্রম করতে হয়েছে। অবশেষে মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসামি ইকবালের জবানবন্দি মোতাবেক আমরা লাশের যে অংশবিশেষ উদ্ধার করেছি, তার সঙ্গে জবানবন্দির সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। তারপরও অধিকতর তদন্তের স্বার্থে লাশের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল এলে উদ্ধারকৃত লাশের নমুনা মোহনার কিনা, তা সম্পূর্ণ নির্ধারণ করা যাবে। এ ঘটনায় বর্তমানে ইকবাল ও আরিফা কারাগারে রয়েছে।
ওসি আরো বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর এই হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছি, এটা আমাদের ঢাকা জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশের তদন্তের একটি অন্যতম সাফল্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়