কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) বাংলো থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেহেদী হাসান (২২) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বেইলি রোডের ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের অদূরে এসপির বাংলো থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় মেহেদিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের দাবি, নিজের অস্ত্র দিয়ে থুতনি বরাবর গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন কনস্টেবল মেহেদি।
ঢাকা জেলার এসপি মো. মারুফ হোসেন সরদার ভোরের কাগজকে বলেন, ১৫ দিন আগে মেহেদি এখানে যোগদান করেন। তার বিষয়ে তেমন কিছু জানা নেই। হঠাৎ করেই তিনি নিজের অস্ত্র দিয়ে ধুতনিতে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। কী কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব। জানা গেছে, মেহেদির বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আনেহেলা গ্রামে। বাবার নাম আব্দুল হানিফ। তার কনস্টেবল নাম্বার ১৩২৫। ঢাকা জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন তিনি। থাকতেন মিলব্যারাকে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রমনা থানার উপপরিদর্শক আবদুল সালাম জানান, খবর পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা জেলার এসপির বাংলো থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাল পৌনে ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসআই জানান, তার থুতনিতে গুলি বিদ্ধ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিজের সরকারি অস্ত্র দিয়েই নিজে নিজে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন মেহেদি। তবে বিস্তারিত তদন্তের পর বলা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।