চাঁদাবাজির মামলা ৪ দিনের রিমান্ডে দর্জি মনির

আগের সংবাদ

বন্যার পদধ্বনি : পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে

পরের সংবাদ

বিএসএমএমইউর গবেষণা : ৯৮ শতাংশ রোগীই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশই বর্তমানে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১ শতাংশ। জেনোম সিকোয়েন্সিং বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এই গবেষণার ফল প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কোভিড-১৯ এর তথ্য থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে ডিসেম্বর ২০২০ এ ইউকে বা আলফা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণ হার বেশি ছিল। পরবর্তীতে মার্চ ২০২১ এর রিপোর্ট অনুযায়ী সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণ হার বেশি ছিল।
তিনি জানান, গত এক মাসের ৩০০ স্যাম্পলের জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা যায়, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ হচ্ছে ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ১ শতাংশ হচ্ছে সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণ, যদিও আমাদের গবেষণায় প্রথম ১৫ দিনে এই সংখ্যা ছিল ৩ শতাংশ। একজন রোগীর ক্ষেত্রে আমরা পেয়েছি, মরিসাস ভ্যারিয়েন্ট অথবা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট (তদন্তাধীন ভ্যারিয়েন্ট)।
এই রিপোর্ট বিএসএমএমইউয়ের চলমান গবেষণার প্রথম মাসের ফলাফল। পরবর্তী মাসগুলোতে যা চলমান থাকবে বলে জানান তিনি। চলতি বছরের ২১ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত কোভিড ১৯ আক্রান্ত সারা দেশব্যাপী ৩০০ রোগীদের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়। এই গবেষণায় দেশের সব বিভাগের রিপ্রেজেন্টেটিভ স্যাম্পলিং করা হয়।
গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ পুরুষ বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় নয় মাস থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি। যেহেতু কোনো বয়সসীমাকেই কোভিড-১৯ এর জন্য ইমিউন করছে না, সে হিসেবে শিশুদের মধ্যেও কোভিড সংক্রমণ ঝুঁঁকি রয়েছে।
গবেষণায় আরো পাওয়া গেছে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন ক্যান্সার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস- তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে মৃত্যু ঝুঁঁকি বেড়ে যায়। যদিও এ গবেষণায় টিকার কার্যকারিতার বিষয়টি চলমান রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়