চাঁদাবাজির মামলা ৪ দিনের রিমান্ডে দর্জি মনির

আগের সংবাদ

বন্যার পদধ্বনি : পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে

পরের সংবাদ

কঠোর বিধিনিষেধ থেকেও নেই

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে প্রথম ১৪ দিন বিধিনিষেধের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছে বিধিনিষেধ থেকেও নেই। সবার মধ্যেই বিধিনিষেধ মানার ব্যাপারে ঢিলেঢালা ভাব দেখা যায়। সড়ক-মহাসড়কে গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলে। অনেক স্থানেই যানজটের সৃষ্টি হয়। নগরীর সড়কগুলোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও কম ছিল।
নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় সব সড়কে ছিল রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেলের ছড়াছড়ি। যে যার মতো সড়ক ব্যবহার করে। ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা না থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তেজগাঁও এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রাইভেটকারের সংখ্যাই বেশি। এর পাশাপাশি শিল্প এলাকার এই সড়কে পিকআপ ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপও ছিল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, যাত্রাবাড়ী এলাকায় মানুষ ও যানবাহনের ভিড় পুরোপুরি স্বাভাবিক সময়ের মতোই ছিল। এই এলাকার সড়কে অন্যসব যানবাহনের পাশাপাশি সিএনজি অটোরিকশা ও গণপরিবহনও চলে। হাজারো মানুষের পদচারণায় সড়ক ছিল মুখরিত। যাত্রাবাড়ী মোড়ে গাড়ির চাপে সকাল থেকেই যানজট সৃষ্টি হয়।
যানবাহন ও মানুষের চাপে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরে এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা দেখানোর কোনো সুযোগই ছিল না। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা যায়। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকা একেবারেই স্বাভাবিক সময়ের মতো অবস্থায় ফিরেছে। আশপাশের কাঁচাবাজারসহ অনেক দোকানপাটই খোলে এবং কেনাবেচা চলে। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কারো মাঝে সচেতনতা দেখা যায়নি।
মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন এলাকায় রিকশার দাপট গতকাল সবচেয়ে বেশি ছিল। এখানেও সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়।

ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, এয়ারপোর্ট রোড, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মালিবাগ, রামপুরা, মতিঝিল, সায়দাবাদ, খিলগাঁওসহ সব এলাকায় যানবাহনের চাপে সকাল থেকেই থেমে থেমে যানজট হয়।
ধানমন্ডির শংকর থেকে মতিঝিলের অফিসে যাওয়ার পথে রাশিদুল আলম জানান, সব অফিস, কারখানা খুলে দিয়ে লকডাউন কার্যকর করার কোনো অর্থ নেই। সব মানুষ রাস্তায় বের হয়ে এসেছে। লকডাউন থেকেও নেই। এই অবস্থায় শুধু গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত একেবারেই অর্থহীন। এখনো লকডাউন রাখায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
পান্থপথ এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখন অবস্থা প্রায় স্বাভাবিকের পর্যায়ে রয়েছে। দোকান খোলা এবং গণপরিবহন চলাচলের বাকি আছে। এছাড়া সবই চলছে। আমরা যানজট নিয়ন্ত্রণের কাজ করি। এখন আর বাইরে বের হওয়ার জন্য লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করি না।
রাজধানীর গাবতলী, উত্তরা আব্দুল্লাহপুর, পুরান ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজ, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মানুষ এবং যানবাহনের প্রচণ্ড ভিড় হয়। রাজধানীতে প্রবেশের এই সবগুলো পথ দিয়েই লোকজন অবাধে আসা-যাওয়া করে। এসব প্রবেশপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও ঢিলেঢালাভাবেই বিধিনিষেধের ১৪তম দিনটি পাড় হয়। রাজধানীর সড়কের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন মহাসড়কেও যানবাহনের চাপ রয়েছে। ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে গতকালও যানবাহনের চাপ ছিল। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অন্য সব ধরনের যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করে।
দেশের প্রধান দুই ফেরিঘাট মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং মানিকগঞ্জের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় যানবাহন এবং মানুষের চাপ কম থাকায় ভিড় নেই বলে জানা গেছে। মানুষের চাপ কম থাকায় পণ্যবাহী ও জরুরি পরিবহনগুলোর সহজেই ফেরি পার হতে পারছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়