কাগজ প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে মর্জিনা বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পালিয়েছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর শ্বশুর আজিজারকে আটক করেছে পুলিশ।
গত সোমবার সকালে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের দুলালী গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের বালাটারী গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে মর্জিনা বেগমের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় শফিকুল ইসলামের। বিয়ের পর তাদের সংসারে কিরণ বালা (৪) নামে এক মেয়ের জন্ম হয়। সেই মেয়ে কিরণ বালা রবিবার বিকালে বাড়ির উঠানে পায়খানা করে। তা পরিষ্কার করতে দেরি হওয়ায় গৃহবধূ মর্জিনাকে গালমন্দ করেন শাশুড়ি ও দেবর। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয়।
সন্ধ্যায় তাদের বাগবিতণ্ডায় যোগ দেন মর্জিনার স্বামী শফিকুল ইসলাম। এসময় শফিকুল ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন মর্জিনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হলে বাড়িতে মরদেহ রেখে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে রাতেই পালিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মর্জিনার বাবা কালীগঞ্জ থানায় মেয়েকে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। কালীগঞ্জ থানার পুলিশ গতকাল সোমবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় সন্দেজনকভাবে নিহত মর্জিনার শ্বশুর আজিজার রহমানকে আটক করে পুলিশ।
মর্জিনার বাবা মজিবর রহমান বলেন, আমার মেয়েকে তুচ্ছ ঘটনায় পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে বাড়ির সবাই পালিয়েছে। আমি মেয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্দেহজনকভাবে নিহতের শ্বশুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।