ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

তিন বছরেও মেরামত না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শহিদুল আলম মিয়া মিলন, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) থেকে : বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের মরাবিলা-কোনাগ্রাম এলাকায় গড়াই নদীর ভাঙনে পাকা সড়ক ও বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ৩ বছরেও মেরামতের কেনো উদ্যোগ নেই। ফলে বাড়িঘর, ফসলি জমি প্রতি বছরই নদীগর্ভে বিলীন হওয়াসহ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, গড়াই নদীর মরাবিলা এলাকায় সবচেয়ে ভয়ানক ভাঙন প্রতি বছরই শুরু হয়। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ার কারণে মানুষের ও যানবাহন চলাচলের জন্য পাকা সড়ক নির্মাণ করা হলেও গত ৩ বছর আগেই ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে। নতুন করে বেড়িবাঁধ মেরামত বা নির্মাণ না করার কারণে চলাচলে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতি বছরই শুনি নদীতে ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হয়। কিন্তু মরাবিলা এলাকায় এক ব্যাগও জিও ব্যাগ ফেলা চোখে পড়েনি। প্রতি বছর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিরা পরিদর্শন করে ছবি তুলে চলে যান। তবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি এ এলাকার মানুষের। আমরা দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ ভাঙন প্রতিরোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। নদীতে যেভাবে পানি বাড়ছে এ বছরও ব্যাপক ভাঙনে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতি বছর যখন পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন শুরু হয় তখন জিও ব্যাগ ফেলানো হয়। তবে শতভাগ তো নয়ই, প্রভাবশালী ঠিকাদার ইচ্ছামতো কাজ করে চলে যান। পানির সময় কাজ করলে তো জিও ব্যাগ গোনা যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো ত্রাণ চাই না, আমরা মরাবিলা এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম মাস্টার বলেন, নারুয়া ইউনিয়নের মরাবিলা এলাকায় পাকা সড়ক ও বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। আমরা নতুন করে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করলেও সেটিও ভেঙে নদীতে চলে গেছে। এখন এ এলাকার মানুষের চলাচলের কোনো সড়ক নেই।
গড়াই নদীর ভাঙনে মরাবিলা, কোনাগ্রাম, জামসাপুর, নারুয়া, সোনাকান্দর, বাঙ্গরদাহ এলাকায় প্রতি বছরই ভাঙনের শিকার হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ করেছে। ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বাঁশের বেড়া নির্মাণ কাজ করেছে। এতে কিছুটা ভাঙন প্রতিরোধ হয়েছে। তবে মরাবিলা এলাকায় ব্যাপক ভাঙনের শিকার হলেও সেখানে কোনো ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বালিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গড়াই নদীতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়