মোরদুজ্জামান মোরাদ, ইসলামপুর (জামালপুর) থেকে : স্ত্রীর কাছে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে বলেছিল স্বামী। কিন্তু স্ত্রী স্বামীর দাবি অনুযায়ী যৌতুক এনে দিতে পারেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী তাকে নির্যাতন করে। ওই নির্যাতনে গৃহবধূ মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পূর্ব বামনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের আলাল মণ্ডলের স্ত্রী মায়মনি বেগম (২৮)। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতেই মায়মনি বেগমের ভাই ইসলামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার, নিহত মায়মনি বেগমের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে পার্র্শ্ববর্তী বেলগাছা ইউনিয়নের বাসিন্দা মায়মনি বেগমকে আলাল মণ্ডল পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। আলাল মণ্ডল এলাকায় মুদির দোকানের ব্যবসা করে। তাদের ৮ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শাশুড়ি প্রায়ই মায়মনির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে মায়মনি মাঝেমধ্যে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে স্বামীকে দিতেন।
যৌতুকের দাবিতে আলাল মণ্ডল গত সোমবারও মায়মনিকে মারধর করে। এতে মায়মনি অসুস্থ হয়ে পড়ে শ্বশুরবাড়িতেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোমবার রাত ১২টার দিকে নিহত মায়মনি বেগমের ভাই রহুল আজীম বাদী হয়ে আলাল মণ্ডল ও শাশুড়ি আমেনা বেগমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ইসলামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। স্বামীকে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়েছে। শাশুড়িকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।