ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

আদিতমারীতে মন্দিরে হামলা : দুই ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : আদিতমারীতে মন্দিরে কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে রবিবার রাতে আদিতমারী থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন আদিতমারী উপজেলার চন্দনপাট বুড়িরদীঘি সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৃদ্ধশ্বরী রাধাগোবিন্দ ও দুর্গা মন্দির কমিটির সম্পাদক জ্ঞানদা মোহন।
অভিযোগে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনপাট বুড়িরদীঘি সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৃদ্ধশ্বরী রাধাগোবিন্দ ও দুর্গা মন্দির কমিটির মেয়াদ ২০২০ সালে শেষ হওয়ার পর আদিতমারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন সরকারকে আহ্বায়ক ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকারকে সদস্য সচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। বারবার বলার পরেও আহ্বায়ক কমিটি সম্মেলন করেনি। বাধ্য হয়ে পূজারিরা সম্প্রতি সুমন্ত কুমার রায়কে সভাপতি ও জ্ঞানদা মোহন রায়কে সম্পাদক করে কমিটি গঠন করেন। এ নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এদিকে আগের দিন বিকালে বিষয়টির সমাধান করতে মন্দিরে যান আদিতমারী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক তপন কুমার ঘোষসহ নেতারা।
এ সময় সদ্য ঘোষিত কমিটির হাতে মন্দিরের চাবি বুঝে দিলে অপর পক্ষ দেশি অস্ত্রে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মন্দির কমিটির সভাপতি সুমন্ত কুমার রায় (৫০), সাংগঠনিক সম্পাদক নীলকান্ত রায় (৪৫) ও দপ্তর সম্পাদক বকুল চন্দ্র রায় (৩৫) গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় মন্দির কমিটির সম্পাদক জ্ঞানদা মোহন বাদী হয়ে রবিবার রাতে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন সরকারকে প্রধান অভিযুক্ত ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকারসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত আদিতমারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন সরকারের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তবে অপর অভিযুক্ত কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, মন্দিরে ঘটে যাওয়া বিশৃঙ্খলায় আমি উপস্থিত ছিলাম না।
প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে তা সম্ভব হয়নি। একটি পক্ষ গোপনে কমিটি গঠন করে এ দ্বন্দের সৃষ্টি করে।
আদিতমারী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ জানান, মন্দিরে দুটি কমিটিকে কেন্দ্র করে মন্দিরে তালা লাগানোয় ভক্ত ও পূজারিদের পূজা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
যা সমাধানের জন্য আমরা গিয়েছিলাম। এ সময় নতুন কমিটির হাতে চাবি বুঝে দেয়া মাত্রই হামলার ঘটনা ঘটে। যা তদন্ত করছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়