শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

ভারি বর্ষণে প্লাবিত মিরসরাইয়ের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চার দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মিরসরাইয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটছে ৫ শতাধিক পরিবারের। মৎস্য প্রকল্প থেকে ভেসে গেছে লাখ লাখ টাকার মাছ। ভেঙে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকা-আধপাকা গ্রামীণ সড়ক।
জানা গেছে, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিঠানালা, মিরসরাই সদর, মিরসরাই পৌরসভা, বারইয়ারহাট পৌরসভা, খৈয়াছড়া, ওছমানপুর, সরকারতালুক, খিলমুরারী, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে ফেনাপুনি, ওছমানপুরের মরগাং ও খিলমুরালী গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার। চুলায় পানি ওঠায় রান্না বন্ধ রয়েছে এসব পরিবারে।
উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ফরেস্ট অফিস থেকে একরাম সওদাগরের বাড়ি পর্যন্ত ওবায়দুল হক সড়কটি টানা বৃষ্টিতে ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ২ দিন আগে সড়কের কিছু অংশ ছত্তরুয়া ছড়ায় বিলীন হয়ে মানুষের চলাচলের এ সড়কে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ভারি বর্ষণে চরশরৎ এলাকার একটি নির্মিত সড়ক ভেঙে গেছে। সড়কটি পরিদর্শন করেছেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান ও ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা।
ওছমানপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের (পশ্চিম মরগাং) বাসিন্দা আহসান উল্লাহ বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুই দিন চুলায় আগুন জ¦লছে না। অপরিকল্পিতভাবে দীঘি খননের কারণে এ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি। দুর্ভোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
খিলমুরালী এলাকার বাসিন্দা মো. সুমন বলেন, বিএসআরএম বারোমাসি একটি খাল ভরাট করায় ও অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ করায় এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩-৪ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের।
বারইয়ারহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবউদ্দিন রাসেদ জানান, টানা বর্ষণে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পৌর ভবনের কাছে ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় না জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার টেকেরহাট এলাকার মৎস্যচাষি মো. হানিফ জানান, টানা বৃষ্টিতে ইছাখালী ও ওছমানপুর এলাকার অনেক মৎস্য প্রকল্পের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আমারও তিনটি প্রকল্প থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। জানা গেছে, খাল পার্শ্ববর্তী হাটবাজারগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা। এসব স্থাপনা ও দোকানপাটের কারণে বিভিন্ন খালে পানি প্রবাহে বিঘœ ঘটে।
ফলে প্রত্যেক বছর নিম্নাঞ্চলগুলো পানির নিচে ডুবে যায়। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশনের পথ না রেখে বিভিন্ন শিল্পকারখানা গড়ে ওঠায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, বৃষ্টি আশা করি ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। কারণ পানি নিচের দিকে নেমে যাবে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে রোপা আমনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়