হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা : তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখল উপমহাদেশের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকির কারণ হবে আশঙ্কা করে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। গতকাল শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘আফগানিস্তানে আসন্ন তালেবান ক্ষমতা দখলের পরিণাম’ শীর্ষক অনলাইন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তারা।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহরিয়ার কবির। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাষ্ট্রের আফগান ইন্টেলেকচুয়ালস গেøাবাল কমিউনিটির সভাপতি, আফগান বিশেষজ্ঞ লেখক ড. শাহী সাদাত, ব্রাসেলসের সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য মানবাধিকার নেতা পাওলো কাসাকা, সুইডেনের উপসালা ইউনাইটেড নেশনস এসোসিয়েশনের অ্যাটর্নি মোনা স্ট্রিন্ডবার্গ, প্যারিসের ইনস্টিটিউট ডি রিসার্চ এট ডিটিউডস স্ট্র্যাটেজিকস ডি খাইবারের (আইআরইএসকে) সভাপতি, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিনিধি পশতুন নেতা ফজল-উর রেহমান আফ্রিদি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন হোসেন বাদশা, ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক নিরাপত্তা বিশ্লেষক অব. মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, ব্রিটিশ মানবাধিকার নেতা কলামিস্ট জুলিয়ান ফ্রান্সিস, ভারতের দৈনিক পাইওনিয়ারের উপদেষ্টা সম্পাদক লেখক সাংবাদিক হিরন্ময় কার্লেকার, পাকিস্তানের মানবাধিকার নেত্রী, অর্থনৈতিক উন্নয়ন গবেষক-পরিকল্পক ও শান্তিরক্ষা কর্মী তাহিরা আবদুল্লাহ, যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড সিন্ধি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা ড. লাকুমাল লুহানা, যুক্তরাজ্যের রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, নির্মূল কমিটির সর্ব ইউরোপীয় শাখার সভাপতি তরুণ কান্তি চৌধুরী, নির্মূল কমিটির সর্বইউরোপীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আনসার আহমদ উল্লাহ ও জাতিসংঘের শিশু অধিকার সম্পর্কিত কমিটির সদস্য ফয়সাল হাসান তানভীর।
শাহরিয়ার কবির বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন এবং ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের কারণে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের বিশ্বাস, এর ফলে আফগানিস্তানের মানুষের জীবন ও জীবিকার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তি বিপন্ন হবে। আফগানিস্তানে আসন্ন তালেবান দখলের বিরুদ্ধে বিশ্বের আলোকিত নাগরিক সমাজকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই এবং আফগানিস্তানে তালেবানসহ সমস্ত জঙ্গিদের নির্মূল এবং শান্তি পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ন্যাটোর উপস্থিতির দাবি জানাই।
পাওলো কাসাকা বলেন, আফগানিস্তানে তালেবান শাসন দেশটির জনগণ, বিশেষ করে আফগান নারীদের স্বাধীনতা খর্ব করেছে। তালেবানরা দেশটিকে নাইন-ইলেভেনের জঙ্গি হামলার মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ বিকাশের কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত করেছে। তালেবানের শাসন আফগানদের জন্য, প্রতিবেশীদের জন্য এবং আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের জন্য প্রচণ্ড হুমকিস্বরূপ। মানবাধিকারে বিশ্বাসী সবার কর্তব্য আফগানদের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের জন্য তাদের পাশে থাকা।
ফজল-উর রেহমান আফ্রিদি বলেন, তালেবানরা যদি পুনরায় কাবুল দখল করে তাহলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এবং এ অঞ্চলে ইসলামি জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থিদের উত্থান ঘটবে। তারা ভারতীয় কাশ্মির অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করবে এবং এর ফলে ৯০-এর দশকের মতো বাংলাদেশে পুনরায় জঙ্গি সংগঠনগুলোর পুনরুত্থান ঘটবে।
হিরন্ময় কার্লেকার বলেন, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় এলে বিশ্বের কোথাও কেউ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে না। আফগানিস্তান পুনরায় বিশ্বব্যাপী জিহাদের চারণক্ষেত্রে পরিণত হবে। তালেবানকে আফগানিস্তান থেকে মূলোৎপাটন করার বিকল্প নেই। জুলিয়ান ফ্রান্সিস বলেন, রক্তপিপাসু তালেবান ও আল কায়েদাকে দাঙ্গা চালানোর সুযোগ দেয়ার বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত গুরুত্বের সঙ্গে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। কারণ এতে নিশ্চিতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়