ফখরুলের অভিযোগ : টিকা নিয়ে সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে

আগের সংবাদ

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস : সারা বছর নিষ্ক্রিয় প্রশাসন টনক নড়ে বর্ষা এলে

পরের সংবাদ

রূপগঞ্জে বাড়ছে সংক্রমণ : তথ্য গোপন করে চলাফেরা করছেন করোনা আক্রান্তরা

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : ঘনবসতিপূর্ণ উপজেলা রূপগঞ্জে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দ্বিতীয় ধাপে এমন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশের মতো রূপগঞ্জেও চলছে ঈদপরবর্তী লকডাউন কার্যক্রম। তাই সড়ক মহাসড়কে কঠোর অবস্থানের কারণে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশের তৎপরতায় শুধু ওই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে। তবে নিয়ন্ত্রণে নেই গ্রামের পাড়া মহল্লা আর নগরের অলি গলিতে। সচেতনতার অভাবে মানুষজন পুলিশ ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাড়া মহল্লায় চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, গ্রামের কারো করোনা আক্রান্তের লক্ষণ হলে পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হচ্ছেন না। আবার আক্রান্তরা নিজের তথ্য গোপন করে স্বাভাবিক মানুষের মতোই অবাধ দায়হীন চলাফেরা করছেন। এমনকি তাদের স্বজনরাও হয়ে পড়েছেন বেপরোয়া। কোনোরূপ স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন সব স্থানে। তবে স্বজনদের দাবি করোনা হয়েছে জানলে সমাজের লোকজন আমাদের ঘর থেকে বেরুতে দিবে না কিংবা কোনো দোকান থেকে কিছু কিনতে পারব না তাই বাধ্য গোপন রাখি। সূত্র জানায়, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত নার্স খাইরুনসহ চারজনের অধিক নার্স ও কর্মচারী করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। তারা স্টাফ কোয়ার্টারে অন্য সুস্থ রোগীদের সঙ্গেই বসবাস করছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূর জাহান আরা খাতুন জানান, এ উপজেলায় আক্রান্তদের জন্য পর্যাপ্ত বেড না থাকায় বাসায় চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। গুরুতর হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠাই। এ সময় তিনি আরো জানান, রূপগঞ্জে এ পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ২০৬ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৫ জন। সুস্থ্য হয়েছেন দুই হাজার ৮৪০ জন। এখনো পজিটিভ রয়েছেন তিন হাজার ৬৮ জন। তবে তালিকা প্রকাশ করা যায় কিনা তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সম্মত হলে ব্যবস্থা নেব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান বলেন, ঈদপূর্ব সময়ে রূপগঞ্জে দুজন ভারত ফেরত ভারতীয় ধাচের রোগীর সন্ধান পাই। তাৎক্ষণিক তাদের বাড়ি কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করেছি। তবে ঢালাওভাবে সব আক্রান্তদের বাড়িতে লাল পতাকা ও নোটিস দিলে তারা সামাজিকভাবে নিজেকে হেয়ভাবে। দেশের বহুস্থানে আত্মহত্যা করা কিংবা সামাজিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন অনেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়