বুড়িগঙ্গা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ কিশোর

আগের সংবাদ

পিছিয়ে কেন চামড়াশিল্প!

পরের সংবাদ

লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগী : মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংকট

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্যামল মিত্র, মনোহরদী (নরসিংদী) থেকে : কঠোর লকডাউনের পরও মনোহরদীতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। করোনা আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগী হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিলেও প্রতিদিনই বাড়ছে সংকটাপন্ন রোগীর সংখ্যা। মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য মাত্র ৫টি বেড রাখা হয়েছে। এতে জেলার একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড ৮০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে বেড়েছে করোনা রোগীর চাপ।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৪২ জন এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৩৫১ জন এ। এ পর্যন্ত উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গতকালও যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ এর নিচে ছিলো একদিনের ব্যবধানে তা প্রায় ৫ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কঠোর লকডাউনেও অধিকাংশ দোকানপাট খোলা। দোকানে বসে আড্ডায় মেতে আছে মানুষ। বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক নেই। রাস্তা দিয়ে অবাদে চলছে রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার সহ মটরসাইকেল। একই সাথে চলছে গাদাগাদি করে। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন নামই নেই। উপজেলার পৌরসভা এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা মানতে দেখা গেলেও, ইউনিয়ন গুলোতে দেখলে বুঝার উপায় নেই করোনা বলে আদো কোন কিছু আছে।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রশাসন আসলে তারা নাকি আগে থেকেই খবর পায় তখন কিছুক্ষনের জন্য সব বন্ধ রাখা হয়।
প্রশাসন চলে গেলে আবার সবকিছু আগের মতই চলে। আজ কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে এসে প্রশাসনও কেমন যেন একটু ঝিমিয়ে পরেছে। এদিকে মানুষের এমন দুর্দিনে জন প্রতিনিধিরা যেন পালিয়ে বেড়াছেন। তাদের এখন আর তেমন দেখা মিলছেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম কাশেম বলেন, হঠাৎ করেই মনোহরদীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি গত ২৪ ঘন্টার রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। তবে একটি সূত্রে জানতে পেরেছি গত ২৪ ঘন্টায় মনোহরদীতে ৪০ জনের বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এটি খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। আমি শিল্পমন্ত্রী স্যারকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তিনি আমাকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক পরামর্শ দিয়েছেন। তাছাড়া মন্ত্রী স্যারের সাথে পরামর্শ করে মনোহরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে হোম আইসোলেশন এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা চলমান রয়েছে।
ইতোমধ্যেই আমাদের ২০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবস্থা করা আছে। অন্যদিকে লকডাউন মানাতে আমরা প্রতিদিন উপজেলার প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট চালনা করছি। যারা স্বাস্থবিধি মনছেন না তাদের বিচারের আওয়তায় এনে মামলা, শাস্তি সহ আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। তাছাড়া সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আমরা মাস্ক বিতরণ সহ নানা ভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়