বুড়িগঙ্গা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ কিশোর

আগের সংবাদ

পিছিয়ে কেন চামড়াশিল্প!

পরের সংবাদ

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক : দুই দফা সময় বাড়িয়েও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর থেকে : দুদফা সময় বাড়িয়েও শেষ হয়নি সড়ক নির্মাণের কাজ। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের চোখতোলা নামক মাঠে ৯৪০ মিটার নির্মাণাধীন এই সড়কের কারণে জনদুভোগ চরমে উঠেছে। বারবার সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন। এদিকে অভিযোগ আছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ সমাপ্ত না হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের বেশ কয়েকটি কাজের চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই সাংসদ।
সড়ক বিভাগ থেকে জানা যায়, ৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে চোখতোলা মাঠে ৯৪০ মিটার রাস্তার কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জহিরুল ইসলাম লিমিটেড। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি কাজটির কার্যাদেশ পায় ওই প্রতিষ্ঠান। ভূগর্ভস্থ টিএন্ডটি তারের কারণে মাঝে কাজটির গতি হারায়। দুদফা সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ৩০ মে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের পরেও কাজটি এখনো শেষ হয়নি। গাংনী আসনের এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন মঙ্গলবার সরেজমিন পরিদর্শন করে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বারবার সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ না করার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমপি খোকন বলেন, এখন কাজের ৪০ শতাংশ অবশিষ্ট আছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি করোনার কারণে কাজ সম্পন্ন করতে দেরি হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়াতে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া হয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি নির্মাণের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে সরাসরি বাস ধর্মঘট পালন করেছে স্থানীয় বাস মালিক ও বাস শ্রমিক সংগঠন।
এছাড়া মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে আলমপুরে কাজলা নদীতে ৭ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩১.৮২৮ মিটার সেতু নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স লি.। কাজের শেষ সময় ছিল ১৪ নভেম্বর ২০২০। বর্তমানে কাজটি এখনো চলমান। সেতুটি ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এই ঠিকাদারের গাংনী-কাথুলী সড়কে ভাটপাড়া থেকে কুলবাড়িয়া পর্যন্ত রাস্তার সিলকোর্ট (১২ মিলি) এবং রাস্তার দুপাশে মাটি ভরাটের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার দুপাশে মাটি ভরাটের কাজ ছিল ৪ লাখ টাকা মূল্যের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কয়েক ট্রলি মাটি দিয়ে আর মাটি ভরাট করা হয়নি। সরেজমিন গাংনী-কাথুলী সড়কে গেলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, সিডিউলে মাটি রাস্তার দুপাশে মাটি দেয়ার এবং রাস্তায় ১২ মিলি সিলকোর্টের কথা বলা আছে। কিন্তু রাস্তার পাশে মাটি দেয়া হয়নি। রাস্তায় সিলকোর্টও সিডিউল মোতাবেক হয়নি। কাথুলী গ্রামের তরিকুল ইসলাম নামের এক যুবক জানান, নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে কাজের মান নিয়ে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা স্বীকার করেন কিছু কাজ বাকি থাকলেও ওই কাজগুলোর চূড়ান্ত বিল দেয়া হয়েছে। তিনি অনুরোধ করেন তাকে উদ্ধৃতি করে কোনো মন্তব্য প্রকাশ না করে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলার জন্য। মেহেরপুরের সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে ম্যাসেজ দিলেও তিনি এর জবাব দেননি। তবে সড়ক বিভাগের অন্য একজন জানান, বিল এখনো কাউকেই দেয়া হয়নি। করোনার কারণে কাজে বিলম্ব হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়