বুড়িগঙ্গা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ কিশোর

আগের সংবাদ

পিছিয়ে কেন চামড়াশিল্প!

পরের সংবাদ

নওগাঁ পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং : চাঞ্চল্যকর ৩ খুনের রহস্য উদ্ঘাটন, আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলা পুলিশের তৎপরতায় সংঘটিত আলোচিত তিন খুনের ঘটনা দ্রুততম সময়ের উদ্ঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান মিয়া তার সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, গত ২৫ জুলাই সকাল ৯টায় নওগাঁ সদর উপজেলার বিল ভবানীপুর গ্রামে একটি পাটক্ষেত থেকে উজ্জ্বল হোসেনের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তারা মাদকসেবন, মাদক কারবার, ডিশ ও সুদের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। নিহত উজ্জ্বল হোসেন সহযোগী জনৈক রায়হানের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। পাওনা টাকা চাইলে বিরক্ত হয়ে তার সহযোগীরাই পরিকল্পিতভাবে একটি নির্জন মাঠে নিয়ে গিয়ে উজ্জ্বলকে গলা কেটে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন এবং মূল হত্যাকারী বিল ভবানীপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে সুজন (২৯) এবং সিরাজুল ইসলামের ছেলে শরিফকে (২৫) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামিরা আদালতে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে গত শুক্রবার রাত ৮টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে পোরশা থানার অন্তর্গত যমুনা বাগানের নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় সমির উদ্দিনকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
সমির উদ্দিনের বাবা মো. আফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে পোরশা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনের মূল আসামি সাবেক স্ত্রী আছিরন বিবিকে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক আছিরনের বড় বোন সালেহা বেগমকেও গ্রেপ্তার করে। পরে সমির উদ্দিনের ছেলে সিফাত আদালতের বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় হত্যার সঙ্গে জড়িত আছিরন, জিয়া ও সালেহা বেগমের নাম প্রকাশ করে জবানবন্দি দেয়।
অপরদিকে গত শনিবার নিয়ামতপুর উপজেলার বান্দইল গ্রামে জনৈক ইমরানের আম বাগানে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে একই গ্রামের মো. আরিফ (৩৫), আনারুল (৫০) এবং ইউনুস (৪০) ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই শিশু কৌশলে পালিয়ে এসে চিৎকার করে সহযোগিতা কামনা করে। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে বাগানে লুকিয়ে থাকা আনারুলকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হলে আটক আনারুলকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে কোর্টে পাঠায় এবং অবশিষ্ট আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার সুরাইয়া আকতারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়