বুড়িগঙ্গা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ কিশোর

আগের সংবাদ

পিছিয়ে কেন চামড়াশিল্প!

পরের সংবাদ

কৃষক আব্দুল মতিনের বাজিমাত : এক জমিতে ৩ জাতের তরমুজ!

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখোলা এলাকার কৃষক আব্দুল মতিন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং লালতীরের সার্বিক সহযোগিতায় একই মাঠে তিন জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। তার সাফল্য দেখে খোদ কৃষি বিভাগই বিস্মিত। এলাকার অন্য কৃষকদের মধ্যেও সারা জাগিয়েছে। আব্দুল মতিনের এ বাম্পার ফলনে এ উচ্চ ফলনশীল বীজ অন্য উপজেলায়ও বিস্তৃত করবেন বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী। তবে ফলন ভালো হলেও চলমান লকডাউনে কাটতি কম থাকায় এর বিপণন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষক।সম্প্রতি পাত্রখোলায় সরেজমিন দেখা যায়, একই মাঠে একটি কালো রং, একটি হলুদ রং এবং অন্যটি সবুজ ডোরাকাটা রংয়ের। যার একটির নাম ব্ল্যাক বেবি, একটি মধুমালা ও অপরটি লালতীরের ল্যান ফাই জাতের হলুদ তরমুজ।
এরই মধ্যে আব্দুল মতিনের তরমুজ ক্ষেতের ফলাফল পরিদর্শনে আসেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাসহ এলাকার কৃষকরা। এ ব্যাপারে কৃষক আব্দুল মতিন জানান, তার দুই বিঘা জমিতে এ তিন জাতের তরমুজ চাষ করেন। তিন জাতের মধ্যে হলুদ রংয়ের লালতীরের হাইব্রিড, ল্যান ফাই জাতের সর্বাধিক ফলন হয়েছে। ফলের ওজন এবং আকার সবাইকে আকর্ষণ করেছে। শুধু আকার নয় এর স্বাদ অসাধারণ। বাজারে এর দরও ভালো। তিনি জানান, এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করতে এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো।
লালতীর সিড লিমিটেডের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী জানান, হাইব্রিড, ল্যান ফাই জাতটি সবুজ ডোরাকাটা ও ভেতরে হলুদ রংয়ের শাসযুক্ত অধিক মিষ্টি। উত্তম পরিচর্যায় একেকটির তরমুজের ওজন হয় ৫ থেকে ৬ কেজি। বছরব্যাপী মাচায় ও মাঠে চাষ করা যায়। এ ফলের পরিপক্বতার সময় আসে ৬৫ থেকে ৭০ দিনে।
জাতটি চাষ করতে প্রতি শতকে বীজের পরিমাণ লাগে মাত্র ১ গ্রাম। উত্তম পরিচর্যাতে একরে ফলন হয় ৩০ থেকে ৩৫ টন। কৃষকরা উপযুক্ত দাম পেলে এ জাতগুলো চাষে দিন দিন আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, জেলার অন্য উপজেলাতেও এ জাতগুলোর চাষ ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। এদিকে উৎপাদন ভালো হলেও চলমান লকডাউনে কাটতি কম থাকায় মাঠের বাকি ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়