বুড়িগঙ্গা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ কিশোর

আগের সংবাদ

পিছিয়ে কেন চামড়াশিল্প!

পরের সংবাদ

করোনা সংকটে কুষ্টিয়ায় কুরবানি কম : চামড়ার দর কিছুটা বাড়লেও বঞ্চিত মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নুর আলম দুলাল, কুষ্টিয়া থেকে : কুষ্টিয়ায় এ বছর জেলার চামড়া পট্টি মোকামে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ লাখ পশুর চামড়া। এর মধ্যে গরু ১ লাখ ৫০ হাজার। খাসি ও অন্যান্য পশু ৩ লাখ ৫০ হাজার। ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার পর্যন্ত কুষ্টিয়ার মোকামে ৩০ হাজার গরু ও ১ লাখ খাসির চামড়া আমদানি হয়।
এদিকে যেসব ফড়িয়া চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা দাম বৃদ্ধির আশায় চামড়া বিক্রি না করে লবণজাত করে রেখে দিয়েছেন। কুষ্টিয়ার মোকামে আশপাশের কয়েকটি জেলার চামড়া আমদানি হয়। এখানকার চামড়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় কুরবানি কম হওয়ায় কমেছে পশুর চামড়ার সরবরাহ। এ কারণে দরও কিছুটা বেড়েছে। চামড়া ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন জানান, গত ঈদে যে পরিমাণ কিনেছিলেন এবার কুরবানি কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় তার ৬০-৭০ ভাগ কিনতে পেরেছেন। এ কারণেই এবার কিছুটা দাম পেয়েছেন বিক্রেতারা। প্রতি গরুর চামড়ার দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। গত রবিবার দুপুরে চামড়া পট্টি এলাকায় বড় আকারের গরুর চামড়ার দাম ছিল ৮০০ টাকা। মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। চামড়ার দাম কিছুটা বাড়লেও গত ?তিন বছর ক্ষতি হওয়ায় এবার মৌসুমি চামড়া ক্রেতা ছিল খুবই কম। সেভাবে দেখা যায়নি অলিগলিতে চামড়া কেনাকাটা। দাম না পাওয়ার অভিজ্ঞতায় কুরবানিদাতারা মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বেশি পরিমাণ দান করেছেন। মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, গত তিন বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো তারা বঞ্চিত হয়েছেন। বাড়তি দাম পেয়েছে যারা চামড়া ধরে রাখতে পেরেছিল। মাদ্রাসার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, যেসব মাদ্রাসা বা এতিখানা চামড়া সহায়তা হিসেবে নেন তারা সংরক্ষণ করতে পারবে না। এটা জেনেই সকাল থেকে পানির দর ছিল। যখন এসব প্রতিষ্ঠানের চামড়া বিক্রি শেষ তখন দাম বেড়ে যায়। এটা মূলত অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। শহরের ঐতিহ্যবাহী মোমতাজুল উলুম মাদ্রাসার প্রধান মুফতি আরিফুজ্জামান জানান, গত বছর গরুর চামড়া বিক্রি করেছি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। এ বছর ঈদের দিন রাত ১০টায় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকায়। শহরের মদিনাতুল উলুম মাদ্রসার প্রধান মাওলানা রফিকুল ইসলাম জানান, তারা গরুর চামড়া গড়ে বিক্রি করেছেন ৮৫০ টাকায়। কুষ্টিয়া চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনিস কোরাইশি জানান, এ বছর কুরবানির প্রতি বর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়ার মূল্য সরকারিভাবে ঢাকার বাইরে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা। তিনি বলেন, গত বছর চামড়া ২৫ টাকা বর্গফুট কিনলেও এবার ৩৭ টাকা করে কিনেছেন। অন্যদিকে খাসির চামড়া এ বছর কিনেছেন ১০০ টাকার উপরে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়