‘পিক’ টাইমে কঠোর লকডাউনে উদ্বেগে পোশাক খাত

আগের সংবাদ

পদক লড়াইয়ে তিন দেশের দাপট

পরের সংবাদ

দৌলতপুরের চরকাটারী সবুজসেনা উচ্চ বিদ্যালয় : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চার পদে নিয়োগের অভিযোগ

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মানিকগঞ্জ সদর প্রতিনিধি : দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী সবুজসেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আত্মীয়স্বজন ও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ চলিত মাসেই শেষ হওয়ার কারণে তড়িঘড়ি করে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে অফিস সহায়ক সাইদুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের ভাতিজা, কম্পিউটার অপারেটর কিরন হোসাইন প্রধান শিক্ষকের ভাগ্নী জামাই, নৈশপ্রহরী মো. আরিফুল ইসলাম ম্যানেজিং কমেটির সভাপতির ভাগ্নে এবং আয়া পদে সাবিনাকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
গত ১৯ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সবুজসেনা উচ্চ বিদ্যালয়কে চিঠির মাধ্যমে যাবতীয় নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি চরকাটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেকের যোগসাজশে গোপনে তড়িঘড়ি করে শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
জানা যায়, গত ১৩ জুন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে এ নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। এরপর গত ১৫ জুলাই ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার আদেশ পান শিবালয় উপজেলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হযরত আলী। হযরত আলী ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরই গত ২২ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষা নেন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ডিজির প্রতিনিধি হযরত আলী, চরকাটারী সবুজসেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুল হক, পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল বারেক এবং ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুল হালিম। নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষায় ৪টি পদের জন্য মোট ২৪ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এদের মধ্যে আয়া পদের জন্য ৫ জন, নৈশপ্রহরী ৭ জন, অফিস সহায়ক ৭ জন ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদের জন্য ৫ জন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মাত্র ১৯ জন।
চরকাটারী সবুজসেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে আমাদের নিয়ে একটা মিটিং করেছিলেন। তবে নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি। এই নিয়োগে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অর্থ বাণিজ্য করেছে একথা সত্য। প্রধান শিক্ষক আলমগীর নামের একজন ছেলের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা নিয়েছিল লাইব্রেরিয়ান পদের জন্য। এলাকাবাসীর অভিযোগে চাকরি না হওয়ায় তার স্ত্রী সাবিনা খানমকে আয়া পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা কোনো নিয়োগ স্থগিত করার চিঠি পাইনি এবং এখানে অর্থ লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি হযরত আলী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড হতে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য কোনো চিঠি বা মেইল পাইনি। আমি ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে চিঠি পেয়ে এবং লকডাউনের কথা চিন্তা করে ঈদের পরের দিনই নিয়োগ পরীক্ষার কাজ শুরু করি। আমি বোর্ড কর্তৃক স্থগিতাদেশের নির্দেশ পেলে পরীক্ষা বন্ধ করে দিতাম।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেবেকা জাহান জানান, যেহেতু চরকাটারী সবুজসেনা উচ্চ বিদ্যালয়কে বোর্ড কর্তৃক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতাদেশের চিঠি দিয়েছে, সেহেতেু এই নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়