‘পিক’ টাইমে কঠোর লকডাউনে উদ্বেগে পোশাক খাত

আগের সংবাদ

পদক লড়াইয়ে তিন দেশের দাপট

পরের সংবাদ

চলনবিলে কারেন্ট ও বাদাই জালে নিধন হচ্ছে মাছ : বড়িয়া খালে আ.লীগ নেতার বানার বাঁধ

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলনবিলে অবাধে পোনা মাছ নিধন হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় একশ্রেণির লোভী জেলে নিষিদ্ধ বাদাই, কারেন্ট জাল ও বানা-সোঁতির বাঁধ দিয়ে প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছেন। আবার কেউ কেই শখের বসে কারেন্ট জালে মাছ ধরে বাহাবা নিচ্ছেন। এতে চলনবিল মাছশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, নিষিদ্ধ জালে মাছের সঙ্গে কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও জলজ কীটপতঙ্গও নিধন হচ্ছে। এতে বিলের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার খরমকুড়ি, রাখালগাছা, জোড়মল্লিকা, তেলিগ্রাম, শেরকোল, সাতপুকুরিয়া, ডাহিয়া ও আত্রাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে একশ্রেণির অসাধু জেলে সকাল-সন্ধ্যা নিষিদ্ধ বাদাই ও কারেন্ট জাল দিয়ে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ নিধন করে স্থানীয় বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। কিন্তু সরকারিভাবে এসব জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। এছাড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের বড়িয়া ব্রিজের নিচে সোঁতি জালের ঘের দিয়ে নৌকা চলাচল ও পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছেন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের লোকজন। ব্রিজের পাশেই আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বানার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য আব্দুল আলীম।
এছাড়া উপজেলার জামতলী-বামিহাল সড়কের সুকানগাড়ি এলাকায় রানী ভবানী খালে পরপর ৫টি সোঁতির বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত ও নির্বিচারে মা-মাছ ও জলজ কীটপতঙ্গ নিধন করছেন স্থানীয় হাছেন আলী, রামপ্রসাদ, মোশারফ হোসেনসহ কতিপয় ব্যক্তি। চৌগ্রাম ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। পেট চালাতে গেলে একটু-আটটু তো মাছ ধরতেই হয়। তবে এভাবে বানার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা ঠিক নয় বলে স্বীকার করেন তিনি।
আর স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জাবেদ আলী বলেন, পানি কমে যাওয়ায় সেখানে কোনো জাল দেয়া নেই। তবে সোতির বেড়া ও পাশে বানা রয়েছে। যারা এটা দিয়েছে তারা কেউ তার আপনজন নয়। আর তিনি এই অবৈধ জিনিসকে কখনো সমর্থন করেন না।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, এভাবে নির্বিকারে মাছ নিধনের ফলে দেশীয় ৩৯ প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। মানুষের মাঝে সচেতনতাবোধ জাগ্রত না হলে চলনবিলকে রক্ষা করা খুবই কঠিন হবে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন বলেন, চলনবিলে অভিযান পরিচালনার পরপরই সেখানে আবার নতুন করে মাছ শিকারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এজন্য সবার সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। তাছাড়া জনবল সংকট তো রয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রকিবুল হাসান বলেন, চলনবিলে এভাবে কেউ মাছ শিকার করে থাকলে তা দ্রুত অপসারণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়