আপিল বিভাগের আদেশ : ল্যাবএইডের ডাক্তার হত্যায় আমিনুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল

আগের সংবাদ

ঝুঁকি নিয়েই উঠল লকডাউন

পরের সংবাদ

জঙ্গি নজরদারি নিয়মিত থাকুক

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

করোনা ভাইরাস মহামারির এই সময়ে আবার মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। দেশের অভ্যন্তরে জঙ্গিরা নানাভাবে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, বিশেষ করে এ সময়টাকে জঙ্গিরা কাজে লাগাচ্ছে অনলাইনে সদস্য সংগ্রহের কাজে। এছাড়া নানান কায়দায় বিস্ফোরকের চালান ঢুকছে দেশের বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায়। গত রবিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দুটি আস্তানায় অভিযান চালায় সিটিটিসি। এর মধ্যে একটি কক্ষ থেকে তিনটি ইম্প্রোভাইজ এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ও আরো বেশ কিছু বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে মিলছে আইইডি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে তারা তৈরি করছে টাইমবোমা ও আত্মঘাতী বোমা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিপুলসংখ্যক বোমা ও বিস্ফোরক। এসব অবস্থায় বোমা তৈরির উপকরণ সরবরাহকারীদের শনাক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য। এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের মধ্যে জঙ্গিরা কীভাবে সক্রিয় হয়ে উঠছে, এটা ভাবার বিষয়। প্রায় পাঁচ বছর আগে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর অভিযানে নব্য জেএমবি, আনসার আল ইসলামসহ সক্রিয় জঙ্গিদের অনেক শীর্ষ নেতা নিহত ও ধরা পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর তৎপরতায় জঙ্গিরা অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে বলে জানা যায়। এছাড়া জঙ্গিবাদ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রমও চলছে। এর মধ্যে আবার তাদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ বাড়াবে স্বাভাবিক। তবে আশার কথা, জঙ্গিদের অঘটন পরিকল্পনা আগেই নস্যাৎ করা যাচ্ছে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বড় সাফল্য। বর্তমান সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগাম তথ্য নিয়ে বেশকিছু জঙ্গি আস্তানায় সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে। এই তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। জঙ্গি ধরপাকড়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করতে হবে নতুন করে জঙ্গিবাদে যুক্ত হওয়ার ধারাও। পাশাপাশি জঙ্গি দমন অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকা অবস্থায় নব্য জেএমবি বা অন্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর গোপন তৎপরতা কীভাবে ও কিসের জোরে চলতে পারছে, তা গভীরভাবে জানার চেষ্টা করা দরকার। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর অর্থায়ন কখনোই পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, তাদের জনবল সংকটও কখনো স্থায়ী হয়নি। জঙ্গিবাদ বিষয়টা মনস্তাত্ত্বিক। মহামারিতে ওটা থেমে নেই। যারা ইতোমধ্যেই উদ্বুদ্ধ হয়েছে, মহামারি তাদের মাথা থেকে উগ্রবাদকে সরাতে পারেনি। আমরা মনে করি, জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধ হলে এদের তৎপরতাও কমে যাবে। জঙ্গিদের যে অর্থ তা খুব একটা দেশের বাইরে থেকে আসে না। অভ্যন্তরীণ লেনদেনের মাধ্যমেই জঙ্গিদের হাতে অর্থ যায়। এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়