মগবাজারে বিস্ফোরণ আরো একজনের মৃত্যু

আগের সংবাদ

রবীন্দ্রনাথের ঋতুর গান ও অন্যান্য

পরের সংবাদ

সরকারের মহৎ উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ কেন?

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের গৃহনির্মাণ প্রকল্পে নানা অনিয়মের অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত আসছে। নিম্নমানের কাজের পাশাপাশি উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা ও নির্মাণসামগ্রী নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে গুরুতর অনিয়মের খবর হচ্ছে এসব ঘর হস্তান্তরের আগেই স্থাপনায় ফাটল ও এমনি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটছে। এতে সরকারের এ মহৎ উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছরের জানুয়ারি ও জুনে দুই দফায় প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ঘর উপহার দেয়া হয়।
সরকার গৃহহীন মানুষদের স্বপ্ন দেখিয়েছে যে, এসব ঘর তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে, সেখানে তারা নিরাপদে বসবাস করবেন। বাস্তবে প্রকল্পের ঘর গৃহহীনদের দুঃস্বপ্ন ও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভুক্তভোগীরা বলছেন, পরিমাণ মতো সিমেন্ট না দেয়ায় দেয়াল ধসে পড়া, পলেস্তারা মজবুত না হওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। এমন খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘর শুধু ঘর নয়, এটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এই বিশেষ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সবার আবেগ জড়িয়ে আছে। তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের ত্রæটি-বিচ্যুতি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও শৈথিল্যের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন, অনিয়ম ও অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তি পেতেই হবে। সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, কুড়িগ্রাম, বরগুনার আমতলী, বগুড়ার শেরপুর, শাজাহানপুর, হবিগঞ্জের মাধবপুর, সুনামগঞ্জের শাল্লা ও মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় ঘর নির্মাণে অনিয়ম, অবহেলা ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার মধুপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, নেত্রকোনার পূর্বধলা, কিশোরগঞ্জ, বগুড়াসহ মোট ২২ জেলার ৩৬ উপজেলায় ঘর নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অনিয়মে যুক্ত অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে নদীভাঙনসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বসতভিটা হারায় মানুষ। আবার শহরে এসে উচ্চমূল্যের ভাড়া বাসায় অনেকেই থাকতে পারে না বলে ফুটপাত ও বস্তিই তাদের ভরসা। আবাসন মানুষের মৌলিক চাহিদার অংশ হলেও নিঃস্ব মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে যে নিরন্তর সংগ্রাম করছে, সেখানে সরকারের গৃহ ও জমি প্রদানের ব্যবস্থা শুধু সহায়কই নয়, জরুরিও বটে। কিন্তু দুর্নীতিবাজ লুটেরা একটি চক্রের কারণে সরকারের ভালো একটি উদ্যোগ মাঠে মারা যেতে বসেছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাক না কেন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক। এর সঙ্গে কোনো কোনো কর্মকর্তা, ঠিকাদার বা স্থানীয় অন্য কোনো প্রভাবশালী যুক্ত থাকলে তা খুঁজে বের করতে হবে। শুধু নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে সেই ব্যাখ্যা দিলেই চলবে না। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়