অশ্লীল ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল : সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

আগের সংবাদ

কারিগরি কারণে পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পে ধীরগতি

পরের সংবাদ

লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করুন

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চলমান লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। জরুরি কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হতে মানা। এমতাবস্থায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের ঝুঁকিটা শুধু স্বাস্থ্যগত নয়, বরং তার চেয়ে অনেক বেশি জীবন ধারণের। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হলে লকডাউনের দরকার আছে। কিন্তু যে শ্রমজীবী মানুষ দিন আনে দিন খায়, হাত চললে পেট চলে এমন হতদরিদ্র মানুষের খাবার নিশ্চয়তা আগে দরকার। খাবার না পেলে মানুষ করোনার ভয়ে ঘরে বন্দি থাকবে না। অসংখ্য মানুষ জীবিকার তাগিদে বাইরে বেরুচ্ছে। রাস্তায় বেরুলেই প্রেপ্তারও হচ্ছে। এমন ঘটনা দুঃখজনক। নিম্ন আয়ের মানুষ এই বৈশ্বিক মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ যখন প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখনই শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এতে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষের টিকে থাকার সংগ্রাম আরো কঠিন হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়েছেন নতুন করে। অর্থনীতিবিদরা লকডাউনের সময় দরিদ্রদের খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলছেন, শহরের দরিদ্রদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বিত্তবানদের সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। লকডাউন-পরবর্তী সময়ে এ ধরনের লোকরা যাতে সহজেই আয় করতে পারে, এমন পরিবেশ সৃষ্টি করার কথা বলছেন তারা। লকডাউনে প্রায় দেড় কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তারপরও ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই এর আওতায় আসবেন না। এর মধ্যেও সরকার দরিদ্রদের জন্য যে খাদ্য বা অর্থ বিতরণ করে সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে সরকারের নজরদারি বাড়ানো দরকার। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে প্রায় সোয়া তিন কোটি মানুষ। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, করোনার প্রভাবে নতুন করে দেড় থেকে দুই কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছেন। অতীতে আমরা দেখেছি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিংবা বিত্তবানরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার সেভাবে চোখে পড়ার মতো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এনজিওগুলোরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। আমরা মনে করি, দেশের সংকটকালে ঐক্যবদ্ধভাবে এই মহামারি মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে যার যার অবস্থান থেকে দাঁড়ানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকাই মুখ্য। স্বল্পমূল্যে সরকারিভাবে পণ্য সরবরাহ আগামী দুই মাসের জন্য চালু রাখা দরকার। দরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে, বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতের স্বল্প আয়ের লোকজনের জন্য এ মুহূর্তে কীভাবে সম্পূরক আয়ের ব্যবস্থা করে তাদের সক্রিয় সহযোগিতা করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে অতি দ্রুতগতিতে বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা ও পরিষেবা দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়