অশ্লীল ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল : সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

আগের সংবাদ

কারিগরি কারণে পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পে ধীরগতি

পরের সংবাদ

বালিয়াকান্দিতে বিকাশ প্রতারক চক্রের প্রধান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : হ্যালো স্যার আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন, গ্রামীণফোনের লটারিতে আপনার একটি গাড়ি, ফ্লাট, নগদ টাকা পেয়েছেন। আপনি খুব সৌভাগ্যবান ব্যক্তি, তাই আপনাকে এ পুরস্কার নিতে হলে এখনই এ নম্বরটিতে বিকাশের মাধ্যমে দাবিকৃত টাকা দিন। কাউকে বললে সে আপনাকে নিষেধ করবে। আবার কখনো গভীর রাতে সুমধুর নারী ও পুরুষ কণ্ঠে নানা ধর্মীয় ও স্বর্ণালঙ্কার পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। আবার নারীরা প্রেমের অভিনয় করে হাতিয়ে নেয় অর্থ। এভাবেই বিভিন্ন ধরনের সিম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র। এই চক্রের প্রধানকে গত সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মিরাজ হোসেন (৩৫) উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। মঙ্গলবার রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের নারুয়া, বাকসাডাঙ্গী, মধুপুর, চরটাকাপোড়া, চরঘিকমলা, মরাবিলা, কোনাগ্রাম, সোনাকান্দর, গাড়াকোলা, খাটিয়াগাড়া ও জঙ্গল ইউনিয়নের অলংকারপুর, ঢোলজানি, সমাধীনগর, পুষআমলাসহ বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বিকাশ প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে টিম ওয়ার্ক কাজ করে। কেউ বিকাশের দোকানের খাতার ছবি সংগ্রহ, মোবাইলে টাকা হাতানো, টাকা উত্তোলন, কেউ প্রশাসন প্রবেশে নজরদারি, বিকাশ সিম সংগ্রহ করার কাজে ভিন্ন ভিন্ন প্রতারকরা কাজ করে। তিনি বলেন, গত ১ মে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাহাতিমোহন গ্রামের হরিপদ ঘোষের ছেলে দেবাংশু ঘোষের কাছ থেকে ৮৪ হাজার ৯০০ টাকা মোবাইলে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় বিকাশ প্রতারক চক্র। এ বিষয়ে দেবাংশু ঘোষ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা প্রতারকের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় জিডি করেন। জিডির সূত্রধরে থানার পুলিশ তদন্তে নামে। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে প্রতারকদের শনাক্ত করে। পরে দেবাংশু ঘোষ বাদী হয়ে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রতারকদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে। উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের চরটাকাপোড়া গ্রামের কালাম খানের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে রুহুকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ২১টি মোবাইলের বিকাশ করা সিম, একটি এ্যাপাসি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল, প্রতারণা কাজে নিয়োজিত একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার সন্ধ্যায় থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ৭টি সিম, ২টি স্মার্টফোনসহ বিকাশ প্রতারক চক্রের গ্রুপ প্রধান মিরাজকে গ্রেপ্তার করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়