অশ্লীল ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল : সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

আগের সংবাদ

কারিগরি কারণে পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পে ধীরগতি

পরের সংবাদ

কুলাউড়ায় পানপুঞ্জির ভূমির মালিকানা নিয়ে দ্ব›দ্ব চরমে

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের লম্বাছড়া পুঞ্জির (সাহেবটিলা) ভূমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান হয়নি। এখানকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন লিজ নিয়ে বসবাস করলেও হঠাৎ করে তারা ভূমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৩ সাল থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন এখানে বসবাস করছে। ২০১৪ সালে লিজের মেয়াদ শেষে মালিকপক্ষকে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন তৎকালীন পুঞ্জির হেডম্যান। বর্তমানে একটি স্বার্থান্বেষী মহল লম্বাছড়া জুমের ভূমি তাদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মহলটি বিভিন্ন সময় পুঞ্জির ফলদ ও বনজ গাছ এবং জুমের পান কেটে তছনছ করে ফেলেছে। এ নিয়ে পুঞ্জির জুম এলাকায় কয়েকবার হামলার ঘটনাও ঘটেছে। একাধিকবার সালিশ বৈঠক বসলেও বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। লম্বাছড়া ভূমির প্রকৃত মালিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করছেন মালিকপক্ষের মো. ফেরদাউস। তিনি সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রশাসনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তার দাবি, ভূমির প্রকৃত মালিক হওয়া সত্ত্বেও গত দেড় বছর তিনি লম্বাছড়া পুঞ্জিতে উঠতে পারেননি। অন্যদিকে লম্বাছড়ার দখলীয় ভূমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত, সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত, বন বিভাগের বলে দাবি করছে পুঞ্জির অধিবাসীরা। গত বছরের মাঝামাঝি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে দায়েরকৃত এক আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, লম্বাছড়া পুঞ্জির মালিকানা ঘনঘন পরিবর্তন হওয়ায় তারা অসহায় ও দিশাহারা হয়ে পড়ছেন। এর প্রতিকার চেয়ে তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, চুক্তি প্রদানকারী পক্ষরা নিজেদের মালিকানা সঠিকভাবে প্রমাণ করতে না পারায় এবং নিজ নিজ জমির পরিমাণ চিহ্নিত করে সীমানা সঠিকভাবে নির্ধারণ না করায় কেউই এর সমাধান করতে পারেননি।
পুঞ্জির হেডম্যান গ্রিনাল রংদি জানান, মালিকপক্ষের লোকজন বারবার বদলি হচ্ছেন। গত দেড় বছর থেকে আমরা এ নিয়ে দিধাদ্ব›েদ্ব আছি।
মালিকপক্ষের মো. মারুফ মুঠোফোনে জানান, কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের লম্বাছড়া (সাহেবটিলা) পুঞ্জি আমাদের। এর যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের রয়েছে। এই ভূমি দখলে নিতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা দখলীয় ভূমি প্রশাসনের মাধ্যমে ফেরত চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়