কঠোর লকডাউন : ঘর থেকে বের হলেই ‘কঠোর শাস্তি’

আগের সংবাদ

বদলে গেছে ঢাকার দৃশ্যপট

পরের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকে মুসলিম জাগরণে একটি মাইলস্টোন বলে চিহ্নিত করা যায়। পাকিস্তান আন্দোলনের এক প্রধান নেতা শেরেবাংলা ফজলুল হক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন, যদিও ঘটনা পরম্পরায় তিনি ডিগ্রি শেষ করতে পারেননি।
শেখ মুজিব ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন; ভাষা আন্দোলনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রয়েছে। তৎপূর্বে বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলনের সূচনাকারীদের বেশ অনেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ভাষা আন্দোলনকে বাঙালির সুপ্তি ভঙ্গের আন্দোলন বা বাঙালি জাতি সত্তার রেনেসাঁ বা পুনর্জাগরণে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, এনামুল হক, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, হাবিবুল্লাহ বাহার, শেখ মুজিব, আবুল কাশেম, নুরুল হক ভূঁইয়া, মুনীর চৌধুরী, অলি আহাদ, আবদুল মতিন, কামরুদ্দিন আহমদ, আতাউর রহমান খান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, ভাষা মতিন, গাজীউল হক। তারা প্রায় সবাই ছিলেন এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আত্মাহুতিদাতাদের একজন মাত্র আবুল বরকত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলেও ভাষা আন্দোলনে মোজাফ্ফর আহমদ, পৃত্থিশ চক্রবর্তী, অজিত গুহ, কাজী মোতাহার হোসেন, শিক্ষক হিসেবে অংশ নেন এবং প্রথমোক্ত তিনজন অকথিত নির্যাতন ভোগ করেন। ভাষা আন্দোলনের পর যে আলেখ্য বিশিষ্টতা অর্জন করে আছে তার নাম হলো যুক্তফ্রন্ট গঠন এবং ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের পূর্বাংশের প্রাদেশিক নির্বাচনে তার বিজয়। এই যুক্তফ্রন্টের ছত্রছায়ায় স্বাধিকার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন সম্পৃক্ত ছিল। সম্পৃক্ত ছিল কৃষক শ্রমিক পার্টি ও আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল শামসুল হক ও জয়েন্ট সেক্রেটারি শেখ মুজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা প্রণেতাগণ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। ১৯৫৪ সালে যে ছাত্রটি নূরুল আমিনকে নির্বাচনী ভোটে পরাজিত করেছিলেন সেই খালেক নেওয়াজও ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
এই সময়ে স্বায়ত্তশাসন চেতনা তীব্রতর হতে থাকে যখন যুক্তফ্রন্টের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মিউজিক্যাল চেয়ার ভানুমতির খেলা শুরু হয়। ১৯৫৬ সালে দুই অর্থনীতির তাত্ত্বিক ভিত্তি রচয়িতারা বিশেষত আতোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, নূরুল ইসলাম, ওয়াহিদুল হক ও রেহমান সোবহান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন প্রবর্তিত হলে গণতন্ত্রের আশা তিরোহিত হয়। শেখ মুজিবসহ অনেকেই কারা নির্যাতন ও রাজনীতির অযোগ্য ঘোষিত হন। মুজিব নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কার্যক্রম পুনর্জীবিত করেন ১৯৫৯ এবং ১৯৬১ সালে স্বাধীনতার সশস্ত্র যুদ্ধের জন্যই ইবিএলএফ গঠন করেন। মনি সিংহ ও খোকা রায়কে ১৯৬১ সালের শেষভাগে স্বাধীনতা সংগ্রামের আমন্ত্রণ জানান। ১৯৬২ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহের লাল নেহরুর সাক্ষাতের জন্য আগরতলা গিয়েছিলেন। সেই বছর শিক্ষা আন্দোলনের ছদ্মাবরণে আইয়ুববিরোধী ও মার্শাল ল’বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল। ছাত্র শক্তি নামে একটি ছোট সংগঠন তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এসব সংগঠনের নেতৃত্বে যারা ছিলেন সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তারা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মার্শাল ল’কালীন সাংস্কৃতিক আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীর উদ্যোক্তা বা রবীন্দ্র সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবৃন্দ ও একাধিক শিক্ষক। ১৯৬৩ সালে শিক্ষা আন্দোলনের রেশ কাটার আগেই ১৯৬৪ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন ভণ্ডুল ও আইয়ুবের মন্ত্রী মনজুর কাদেরকে নাজেহালে করার ব্যাপারে ছাত্র নেতা শেখ ফজলুল হক মনি, আছমত আলী শিকদার, কমরেড ফরহাদ, রাশেদ খান মেনন, মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানের পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জবাবে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে গণমিছিল ও পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের পূর্ব পাকিস্তান রুখিয়া দাঁড়ানোর আহ্বান সংবলিত সম্পাদকীয়তে ব্যাপক সাড়া মিলে এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা জাতিগত দাঙ্গায় মোড় নেয়। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে আইয়ুব খান ৮০ হাজার মৌলিক গণতন্ত্রীদের ভোটে জয়ী হয়। সেপ্টেম্বরে ক্ষমতা চিরায়তের জন্য পাক-ভারত যুদ্ধ বাঁধালে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়।
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ৬ দফা আন্দোলনের কথা অনস্বীকার্য। এই আন্দোলনের মহান প্রণেতা ও প্রবক্তা ছিলেন শেখ মুজিব। তার সুযোগ্য সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ প্রমুখও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী। এই সময়ে ব্যাপক ধরপাকড় নির্যাতন ও জেল জরিমানায় যারা শিকার হয়েছিলেন। তাদের প্রায় সবাই এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে অপর একটি অনন্য ঘটনা হচ্ছে ১৯৬৬ সালের ৭ জুনের হরতাল। ৬ দফার সপক্ষে ও শেখ মুজিবের মুক্তির লক্ষ্যে সেদিন সারা বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেদিনের নেতৃত্বে শিরোভাগে ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, এনতাজ আলী, ফেরদৌস কোরেশী, লুৎফুল হাই সাচ্চু, আল মুজাহেদী, ওয়াহিদুর রশীদ মুরাদ, আল-আমিন চৌধুরী, নূরে আলম সিদ্দিকী, আবদুল মান্নান চৌধুরী, মনিরুল হক চৌধুরী, শেখ শহিদুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রমুখ। প্রথমোক্ত দুজনই সাবেক, অন্যরা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষার্থী।
তারপরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দেন। ১১ দফার আন্দোলনের ন্যায় কিংবদন্তি নেতা তোফায়েল আহমেদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আবদুর রউফ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, সাইফুদ্দিন আহমদ মানিক, শামসুদ্দোহা, মাহবুবুল হক দোলন, ফখরুল ইসলাম, নাজিম কামরান চৌধুরী বা দীপা দত্ত তথা ১৯৬৮-৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পুরোধা ব্যক্তিদের সব ক’জন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী। ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আইয়ুব-মোনায়েমের পতন ঘটে। ইয়াহিয়ার মার্শাল ল’বিরোধী আন্দোলন ও পাকিস্তানে এক ব্যক্তি এক ভোট ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা আছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিপুলসংখক ছাত্রনেতা নির্বাচনে অংশ নেন। তাদের মধ্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি জাতির জনক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, আবদুস সামাদ আজাদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কৃতী শিক্ষার্থী। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে সব মন্ত্রীর সচিব, একান্ত সচিব ও মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।
২৫ মার্চের ক্র্যাকডাউনের পর পূর্ব বাংলা থেকে আগেই হিজরতকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ সম্প্রসারণের কাজে নিবেদিত ছিল বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কর্মীদের প্রায় সবাই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ক্র্যাকডাউনের পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে সুলতানা জামান ও নূর মোহম্মদ মিয়া, আবদুল মান্নান চৌধুরী চাকরি ত্যাগ করে সীমান্ত অতিক্রম করেন। অজয় রায়, মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী, আনিসুজ্জামান, আবু জাফর, শহীদউদ্দিন আহমেদসহ অনেকে বিভিন্ন পর্বে সীমান্ত অতিক্রম করেন। তাদের কাউকে কাউকে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি দিয়ে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা হয়। আবদুল মান্নান চৌধুরী সশস্ত্র সংগ্রামের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে যান। এপ্রিলের শেষভাগে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে বিএলএফকে মুজিব বাহিনীতে রূপান্তরের সময় থেকে তিনি মুজিব বাহিনীতে জড়িত ছিলেন; তবে পূর্বেও বিএলএফের সদস্য ছিলেন। তাকে ভারতে শিক্ষকতার প্রস্তাব দেয়া হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি দেরাদুন প্রশিক্ষিত গেরিলা যোদ্ধা। মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রমে বেশ কিছু শিক্ষক জড়িত ছিলেন। প্রফেসর মোজাফ্ফর আহমদ, রেহমান সোবহান, সারোয়ার মোর্শেদ, আনিছুর রহমান ও আনিসুজ্জামান ছিলেন প্লানিং সেলের সদস্য। ড. আনিসুজ্জামান ও অজয় রায় যথাক্রমে ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আমিরুল ইসলাম ছিলেন মুজিবনগর সরকার গঠন উপলক্ষে প্রণীত ঘোষণার প্রণয়নকারী। নিয়মিত বাহিনীর ১১ সেক্টরের প্রধান যে তিনজন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অধিভুক্ত কলেজের গ্র্যাজুয়েট। ঢাকার বুকে ক্র্যাক প্লাটুন যে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে বা দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছে তার অধিকাংশ সদস্যই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ক্র্যাক প্ল্যাটুনের মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী বা সাদেক হোসেন খোকার নাম সর্বজনবিদিত। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ১১৫ জন যোদ্ধা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। শিক্ষক ও কর্মকর্তার সংখ্যা ২০ জন এবং সর্বসাকল্যে কর্মচারীদের সংখ্যা ৫২ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র বীরশ্রেষ্ঠ, ৫ জন বীর উত্তম, ৭ জন বীরবিক্রম ও ৪ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হোন। ১৯৭১ সালের ১৪-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব শিক্ষক আলবদরের হাতে নির্মম নিহত হয়েছিলেন তারা হলেন আনোয়ার পাশা, আবুল খায়ের, গিয়াস উদ্দিন আহমদ, ফয়জুল মহী, মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাসিদুল হাসান, সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ও সিরাজুল হক খান। শহীদ ডা. মোহাম্মদ মর্তুজা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক। মার্চ-এপ্রিলে যারা শহীদ হলেন তারা হলেন অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, আতাউর রহমান, খান খাদিম, আবদুল মুক্তাদির, এ এন এম মুনীরুজ্জামান, গোবিন্দ চন্দ্র দেব, জোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ফজলুর রহমান খান, মোহাম্মদ সাদেক ও শরাফত আলী।
বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান-গরিমায় যেমন অনন্য তেমনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্ফুরণ ও বিকাশে তার ভূমিকা ঈর্ষণীয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা হচ্ছে সার্বিক। যে দেশের জাতির পিতা ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র, তাদের গর্বের ভাণ্ডারটি সুবিস্তৃত। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ভাণ্ডারটি আরো সমৃদ্ধশালী করা।’

অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়