কঠোর লকডাউন : ঘর থেকে বের হলেই ‘কঠোর শাস্তি’

আগের সংবাদ

বদলে গেছে ঢাকার দৃশ্যপট

পরের সংবাদ

অন্যের মারামারিতে বাবা ও ছেলের নামে হত্যা মামলা : সংবাদ সম্মেলনে দাবি

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : উপজেলায় দুই পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মমিনুল হক (৩৫) নামে এক কৃষক। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে গত ১২ মে বদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু গ্রাম্য মাতুব্বরদের চক্রান্তে ওই মামলায় প্রকৃত আসামিদের এড়িয়ে নিরীহ মাদ্রাসার সহকারী সুপার ইয়াছিন আলী ও তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছেলেকে জড়ানো হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মূল আসামিদের আড়াল করায় ভুক্তভোগী ইয়াছিনের পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার বদরগঞ্জ প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন ইয়াছিন আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিহত কৃষক মমিনুল হকের আত্মীয় মোবারক হোসেনের দত্তক সন্তান রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও মোর্শেদা খাতুন (৩৫)। দত্তক নেয়ার কিছু দিন পর মোবারক হোসেনের তৃতীয় স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তার নাম মৌসুমী আক্তার। মোবারক জীবিত অবস্থায় দত্তক নেয়া দুই সন্তানকে আলাদা করে জমি লিখে দেন। পৈতৃক সূত্রে বাকি জমির ভোগদখল করেন মৌসুমী ও তার স্বামী মাহমুদুল হাসান সবুজ। এতে ক্ষুব্ধ ছিল রফিকুল ও মোর্শেদা। তারা মৌসুমীর জমির অংশ দাবি করলে নিজেদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়। রফিকুল ইসলাম সালিশ উপেক্ষা করে গত ১১ মে মৌসুমীর জমির ধান কেটে নিতে গেলে সবুজ বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের বিরোধে ওই দিন-রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের পাঠানেরহাট নামক স্থানে রফিকুল ও সবুজ গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে মমিনুল হক গুরুতর আহত হন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। ঘটনার একদিন পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মমিনুল। নিহতের বাবা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে মানসিংপুর মাদ্রাসার সহকারী সুপার ইয়াছিন আলী ও তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছেলে আহসান হাবীবকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামী ইয়াছিন আলী মাদ্রাসা শিক্ষক। আমরা বদরগঞ্জ পৌর শহরের শাহাপুর এলাকায় বসবাস করি। ঘটনার সময় ইয়াছিন আলী বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তারাবি নামাজে ছিলেন। নামাজ শেষে তিনি রাত ৯টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টার মধ্যে বাসায় এসে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
একই দিন রাত আনুমানিক ১০টার দিকে পৌর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পাঠানেরহাটে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আমার নিরপরাধ স্বামী ইয়াছিন আলী এবং বড় ছেলে আহসান হাবিবকে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ২ ও ৩নং আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।
এর কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন না। আমার স্বামী-সন্তানকে মামলায় জড়িয়ে একটি মহল শত্রæতা করে আমাদের সর্বস্বান্ত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। আজ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আমার স্বামী ও সন্তান কোথায় আছেন, কী করছেন, আমি তার কিছুই জানি না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ইয়াছিন আলীর ছোট ছেলে আহসান কবীর, মেয়ে রোখসানা আফরোজ ও শ্যালক আব্দুল করিম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়