গলায় খাবার আটকে মৃত্যু প্রতিবন্ধীর

আগের সংবাদ

নতুন সিনেমায় অপি করিম

পরের সংবাদ

জয়যাত্রায় বসুন্ধরার মেয়েরা

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে বর্তমানে একক আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। হোক সেটি নারী লিগ বা ছেলেদের লিগ। পুরুষ দলের চেয়ে বসুন্ধরার নারী দল আরো বেশি শক্তিশালী। যে প্রতিপক্ষই সামনে আসুক না কেন তাদের কাছে কেউ পাত্তাই পায় না। এই ম্যাচের আগে বসুন্ধরা কিংসের খেলার কথা ছিল ময়মনসিংহের দল কাচিঝুলি স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। কিন্তু দলটি এদিন মাঠে আসেনি। ফলে বসুন্ধরা ওয়াকওভার পেয়ে তিন পয়েন্ট পায়। ওয়াকওভার পাওয়ায় তাদের ৩-০ গোলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
গতকাল নারী লিগের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ক্লাবটি মাঠে নামে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচে ছয় গোল দিয়ে ঘরে ফিরেছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। ঢাকার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংস দুই অর্ধে তিনটি করে গোল দিয়ে খাতায় যোগ করেছে আরো ৩ পয়েন্ট।
অধিনায়ক সাবিনা খাতুন দলকে এগিয়ে দেন ষষ্ঠ মিনিটে। ১৮ ও ২১ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন কৃষ্ণা রানী সরকার। দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করেন সিরাত জাহান স্বপ্না, সুলতানা একটি।
বসুন্ধরার অধিনায়ক সাবিনা মাত্র সপ্তাহখানেক আগে হ্যাটট্রিক করে নিজের গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। গতকাল তিনি করলেন একটি গোল। তবে তিনি এই মৌসুুমে আরো গোল করবেন এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
মেয়েদের লিগে মাত্র চার মৌসুমেই ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাবিনা খাতুন। নারী লিগে তার শুরুটা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জার্সিতে হয়। গোলমেশিন খ্যাত সাবিনা ২০১১ সালে ক্লাবটির হয়ে করেছিলেন ২৫ গোল। ২০১৩ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সিতে করেছিলেন ২৮ গোল। গোল করার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে করেছিলেন ৩৫ গোল। আর চলতি মৌসুমে এখনো পর্যন্ত ১৩ গোল সাবিনার। গত বছর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে ২৫০ গোলের কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। এই সংখ্যা আরো বাড়তেই থাকবে এনিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর সাবিনা যেমন জ্বলে উঠবেন বসুন্ধরাও তেমন জ্বলে উঠবে।
নারী লিগে গতকালও খেলার কথা ছিল বসুন্ধরার বিপক্ষে মাঠে খেলতে না আসা কাচিঝুলির। তাদের ম্যাচটি ছিল আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজের বিপক্ষে। কিন্তু কাচিঝুলি এই ম্যাচটিতেও খেলতে আসেনি। এর মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ লিগে খেলা একটি দল টানা তিনটি ম্যাচে অনুপস্থিত থাকল। কাচিঝুলি মাঠে না আসায় আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজকে ৩-০ গোলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই কাচিঝুলি একবার করোনা রিপোর্ট না নিয়ে আসায় তাদের খেলতে দেয়া হয়নি।
দলটি এরপর থেকে মাঠে অনুপস্থিত থাকছে। টানা তিনটি ম্যাচে মাঠে অনুপস্থিত থেকে চরম অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে তারা। আর এমন শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এমনিতেই মেয়েদের ফুটবল লিগ অনিয়মিত। তার ওপর যদি এমন অপেশাদারিত্বের ছোঁয়া থাকে তাহলে তা দেশের নারী ফুটবলের জন্য অমঙ্গলজনক হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়