টুকরো খবর

আগের সংবাদ

জোড়াতালির বাঁধে উৎকণ্ঠা ** বর্ষার শুরুতেই নদীভাঙন ** দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি ** সোচ্চার হচ্ছেন এমপিরা **

পরের সংবাদ

হুমকিতে লঞ্চ-ফেরিঘাট ও ফসলি জমি : টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পদ্মায় ভাঙন

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আলিমুজ্জামান মিলন, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে : গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও ¯্রােতের কারণে ভাঙনের কবলে পড়েছে পদ্মাপাড়ের হাজারো পরিবার। হুমকিতে রয়েছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট।
গত কয়েক বছরের বর্ষায় ভয়াবহ নদীভাঙনের ক্ষত কাটতে না কাটতেই আবারো ভাঙন শুরু হওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছে পদ্মাপাড়ের মানুষ। তবে লঞ্চঘাটের ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিওটিউব ব্যাগ ফেলা হলেও স্থায়ীভাবে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের ভাঙন-কবলিত এলাকার ভাঙন ঠেকাতে নেয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। এলাকাবাসী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ভাঙন মৌসুমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা নদীবাঁধের আশ^াস দিলেও তার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি। যে কারণে প্রতি বছর পদ্মা নদীর ভাঙনে বসতি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। শুকনো মৌসুমে নদীবাঁধের উপযুক্ত সময় হলেও তখন নদীবাঁধের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয় না, তবে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙনের উপক্রম হলেই পানি উন্নয়ন বোর্ড তোড়জোড় করে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে, তাতে ভাঙন রোধে কোনো উপকারে আসে না। গত বুধবার ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙনের ভয়াবহতা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ার বইছে সারাদেশে অথচ দৌলতদিয়া ও দেবগ্রামের ভাঙন রোধে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আমি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দুবার কথা বলেছি সে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আ. আহাদকে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম এলাকার ভাঙন রোধের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বললেও সে এখন-অবদি কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি। আগামী ৩০ জুন এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নিলে গোয়ালন্দ উপজেলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অচল করে দেয়া হবে। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আ. আহাদ বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী  আমাদের ইনস্ট্রাকশন দিয়েছেন যে, ২০টা প্যাকেজে ১ কিলোমিটারে ৫০ মিটার করে কাজ করতে। আমরা বোর্ডে অনুমোদনের জন্য বোর্ডে পাঠিয়েছি। বোর্ড আমাকে বলেছে একই জায়গায় দুই ডিপার্টমেন্ট কাজ করলে জিনিসটা দ্বৈত হয়ে যাবে। এটা তোমরা বিআইডবিøউটিএর সঙ্গে যোগাযোগ কর, তারা যদি এখানে কাজ করে, আমরা এখানে কাজ করব না। আমি তাদের ২/৩ বার অফিসিয়ালি চিঠি দিয়েছি এবং সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে জানিয়েছি। এরপর তারা অফিসিয়ালি জানিয়েছে দৌলতদিয়া ঘাটের ১ নম্বর ঘাট থেকে ৬ নম্বর ঘাট পর্যন্ত বিআইডবিøউটিএ কাজ করবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড করবে লঞ্চঘাট থেকে পশ্চিমে চরের মধ্যে, কাজেই সেখানে আমাদের কাজ করার কোনো সুয়োগ নেই। রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি মহোদ্বয়ের নির্দেশে আপাতত লঞ্চঘাটে জরুরি ভিত্তিতে ২টা প্যাকেজে জিওটিউব দিয়ে কাজ করছি। আর চরের মধ্যে পশ্চিম দিকে প্রটেক্টিভ ওয়ার্কের আওতায় যে কাজ তা অনেক টাকার কাজ।
এখন এই জায়গায় এতগুলো ব্যাগ ফেলব এর এগেনিষ্টে আসলেই ভাঙতেছে কিনা এখানে কাজের কোনো যৌক্তিকতা আছে কিনা। তাছাড়াও ওইখানে বিআইডবিøউটিএর একটা ডেপুটি করা আছে। সামনের শুকনো মৌসুমে এখানে কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়