কাগজ ডেস্ক : ইসরায়েল দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালাতে পারে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ।
গত বুধবার বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ শেষ করা ক্যাডেটদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যখন ইরানকে ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তিতে ফেরাতে উদ্যোগী, তেহরান তখন বেসামরিক পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি আরো জোরদার করছে।
এই ইউরেনিয়াম দিয়ে দেশটি পরে পারমাণবিক বোমা বানিয়ে ফেলতে পারে বলে ইসরায়েল ও এর মিত্রদের আশঙ্কা থাকলেও ইরান শুরু থেকেই তাদের ইউরেনিয়াম বোমা বানাতে নয়, শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হবে বলে আশ্বাস দিয়ে আসছে।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায়ও, তবু তাদের অন্তত কয়েক বছর লাগবে। চলতি মাসে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের এক জেনারেলও এমনটাই ধারণা দিয়েছেন।
ক্যাডেটদের উদ্দেশে বুধবার গান্টজ বলেছেন, ‘দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে, তোমরা হয়তো পূর্বদিক বরাবর উড়ে যাবে এবং ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলায় অংশ নেবে’।
রয়টার্স লিখেছে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল পশ্চিমা কূটনীতি সফল না হলে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে এলেও ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সুরক্ষিত ওই কেন্দ্রগুলোর ক্ষতি করার মতো সামরিক সক্ষমতা তেল আবিবের আছে কিনা, তা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই সন্দিহান।
ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা মূল্যায়নে ২০২৩ সালে ইরান তাদের পারমাণবিক আকাক্সক্ষা অর্জনের পথে ‘সামান্য অগ্রগতির ধারাবাহিকতাই বজায় রাখবে’ বলে ধারণা দেয়া হয়েছে, গত রবিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ইসরায়েলি দৈনিক হায়োম।
সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে তারা বলেছে, “ইরান কেবল তখনই তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনবে যখন তার ওপর তীব্র নিষেধাজ্ঞা জারি হবে, তখন তারা সামরিক মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হবে কিনা, সে বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেবে।”
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।