সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

জাতীয় গ্রিড আধুনিকায়নে এবার গুরুত্ব দিন

পরের সংবাদ

সিইসির মন্তব্য : অংশগ্রহণমূলক না হলে সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা নেই

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয় তবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিংবা ব্যালট পেপার কোনোটাতেই সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা নেই। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ইএমএফের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর নেতৃত্বে সংগঠনটির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল কমিশনের সঙ্গে এ বৈঠকে অংশ নেয়।
সিইসি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা ডিপেন্ড করবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকল্প অনুমোদনের ওপর। যদি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে যথার্থ মনে না হয় সরকার এই প্রকল্প নিয়ে একমত নাও হতে পারে। তবে আমরা এসেই কিন্তু ইভিএম সমর্থন করিনি। দীর্ঘদিন সময় নিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে যন্ত্রটাকে বোঝার চেষ্টা করেছি এবং ব্যাপক আলোচনা করেছি, এতে ব্যাপক অংশগ্রহণ পেয়েছি। ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব তার প্রমাণ কেউ দেখাতে পারেনি। হ্যাকিং সম্ভব নয়, এই ধারণাটাও ছিল না। কেন না, এটা একক মেশিন।
তিনি বলেন, ইভিএম বা ব্যালট মূল কথা নয়। মূল কথা হচ্ছে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বিঘেœ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করা। ইভিএম থাকল, কি ব্যালট থাকল সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয় এবং কার্যকর প্রতিদ্ব›িদ্বতা যদি না নয়, ইভিএম কীভাবে বিহেভ করবে, ব্যালট কীভাবে বিহেভ করবে সেটার নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। ইভিএম, ব্যালটের প্রয়োজন পড়বে কিনা সেটারও নিশ্চয়তা নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা প্রথমেই বলেছি, আপনারা নির্বাচনে আসুন। অংশ নিন। অংশ নিয়ে নির্বাচনটাকে সফল করুন, যাতে নির্বাচনটা সুন্দর হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
ইএমএফের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা ইএমএফের আলোচনা শুনেছি। ইভিএম নিয়ে যে পারসেপশন আছে তার ব্যাখ্যা তারা জানতে চাইলেন। নেগেটিভ যে পারসেপশন বিরাজ করছে সেটাকে দূর করার জন্য সচেষ্ট তারাও। আমরা তাদের বলেছি, আপনারা আপনাদের কাজ করে যান। ভোটার অ্যাডুকেশনের একটা প্ল্যান আমাদের আছে। সেটাও আমরা বাস্তবায়ন করব।
ইএমএফের চেয়ারম্যান আবেদ আলী বলেন, আমরা ইভিএমের পজেটিভ দিকগুলো তুলে ধরার জন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে যাব। এসব বিষয়ে আমরা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচন হবে বলে তারা জানিয়েছে।
ইভিএম প্রচারণা চালাবেন এতে আপনাদের স্বার্থ কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্বার্থের জায়গা গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার। যার ভোট সে যেন দিতে পারে সেজন্য আমরা ইভিএম নিয়ে প্রচারণা চালাব। আমরা মনে করছি, ইভিএমে ভোট ভালো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়