প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : বরিশালের গৌরনদীর লক্ষণ দাস ষাটের দশকের শুরুতে ‘দি রয়্যাল পাকিস্তান সার্কাস’ নামে একটি সার্কাসের দল গড়েন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেন তিনি। এ কারণে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয় তাকে; আহত হন তার স্ত্রী। তাদের টাকা-পয়সা, সোনার অলঙ্কার লুটপাটের পাশাপাশি সার্কাস দলের হাতিটিকেও হত্যা করা হয়।
স্বাধীনতার অর্ধশতকে বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়েও তার আলো নেভেনি। দলটির দীর্ঘ পালাবদলের গল্প আর সার্কাস শিল্পীদের টিকে থাকার লড়াইয়ের কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস’। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন ঝুমুর আসমা জুঁই।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আলোচক ছিলেন- চলচ্চিত্র নির্মাতা মশিহউদ্দিন শাকের, নির্মাতা মানজারে হাসিন মুরাদ। সভাপতিত্ব করেন নাট্যজন অনন্ত হীরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস’ এর নির্মাতা ঝুমুর আসমা জুঁই। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, চিত্তবিনোদনের জন্য সার্কাস আমাদের সময়ে খুবই জনপ্রিয় ছিল। ছোটবেলা থেকেই সার্কাসের সঙ্গে আমরা বিনোদিত হতাম। পালিয়ে ফাঁকি দিয়ে নানা সময়ে নানাভাবে সার্কাস দেখতাম। সেই সার্কাস আজ হারিয়ে যাচ্ছে। সার্কাসের মানুষ লক্ষণ দাসকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় ভূমিকা গ্রহণ করেছেন নির্মাতা।
সাফ ফুটবলে মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মেয়েরা আজ সবদিক দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগাচ্ছেন। এ
ধরনের চলচ্চিত্র যত বেশি নির্মিত হবে সমাজ থেকে সা¤প্রদায়িকতার মূল ততবেশি উৎপাটিত হবে।
ঝুমুর আসমা জুঁই বলেন, সার্কাস শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আজীবন সংগ্রাম করে যাওয়া মানুষগুলোর পাশে থাকা এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, মূলত লক্ষণ দাসের হাতে যে সার্কাস দলটি গড়ে উঠেছিল, সেই দিলটির বিভিন্ন পালাবদল এই চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য। সামান্য প্রাপ্তি আর নির্মম বাস্তবতা। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। তারপরও প্রদর্শনী শেষে বিশ্বজয় করার অনাবিল প্রশান্তি। একজন সত্যিকারের শিল্পীর পক্ষেই সম্ভব নিজেকে বিলিয়ে অন্যকে আনন্দ দেয়া।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।