২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু : হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৩

আগের সংবাদ

সমান সুযোগের রূপরেখা নেই : ইসির রোডম্যাপ

পরের সংবাদ

একটি আবাসিক মিটারে বিল সাড়ে ১১ লাখ টাকা!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : চাটমোহর পৌর সদরের একটি আবাসিক ভবনের মিটারে সেপ্টেম্বর মাসের ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ভবনে কেউ বসবাস না করলেও বিল এসেছে ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৭ টাকা। আর ব্যবহার হয়েছে ৯০ হাজার ১ শত ৫০ ইউনিট। বিল প্রস্তুতকারী আসমা ও এ জিএম (অর্থ) এর স্বাক্ষর সম্বলিত বিলটি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা হাতে পান। কিন্তু মিটার গ্রহীতার পরিবার জানায় গত ৬ মাসে পরিবারের কোনো সদস্যই থাকেন না বাড়িতে। এরকম ভৌতিক বিল পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অফিসে নতুন কোনো বিষয় নয়। কারো নজরদারি না থাকায় এসব ঘটনা ঘটলেও পবিস-১ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। জোর করেই দোষ চাপানো হয় গ্রাহকের ঘাড়ে। অভিযোগ আছে, অদক্ষ অপারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ বিল তৈরির ফলে বিদ্যুৎ বিলের কপিতে নাম, পিতার নাম, মোবাইল নং ভুলে ভরা। তারা মিটার রিডিং না করে অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেন। এজিএম (অর্থ) এর এই বিল ক্রসচেক করার কথা কতা থাকলেও তিনি কিছুই করেন না। এছাড়া মিটারে কম বিদ্যুৎ ব্যাবহার দেখিয়ে বছর শেষে হাতিয়ে নেন অতিরিক্ত টাকা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৩ লাখ গ্রাহক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন নানা সময়।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার অধীর কুমার সরকারের জিরো পয়েন্ট বাড়ির ৪৭৬৬নং হিসাবের সেপ্টেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল দায়িত্বরত লোকের কাছে দিয়ে চলে যান। এসময় পরিবারের লোকজন বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দেখে আঁৎকে ওঠেন। মিটার রিডার রেজাউলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ‘দেখছি’ বলে এই বিলের কপিটি নিয়ে নিতে চান। পরে রাতে আবারো নতুন করে প্রিন্ট দেওয়া হয় এই বিল। সকালে এজিএম অর্থকে দিয়ে জোরপূর্বক আগের বিল নিয়ে নতুন বিল চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন মিটার রিডার।
এসব বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অদক্ষ লোকবল আর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান সমিতির সদস্যরা।
বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন ভুল স্বীকার করে বলেন, কাজ করতে গেলে একটু ভূল হতেই পারে। তিনি সংবাদ প্রকাশ না করারর জন্য অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে পাবনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আকমল হোসেন বলেন, বিলটি কেউ ক্রসচেক করলে এমনটি হতো না। যদি কারো দোষ থাকে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়