চট্টগ্রামে সৈকতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোথাও : বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন > ঢিলেঢালা অভিযানে ১১ জনকে জরিমানা

পরের সংবাদ

বৃদ্ধ মাকে হাসপাতালে ফেলে রেখেছে সন্তানরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : দৌলতপুরে অশীতিপর বৃদ্ধ মাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে রেখেছে সন্তানরা। সাড়ে সাত মাস ধরে তিনি হাসপাতালে থাকলেও ছেলেমেয়ে কেউ তার দেখভাল করছে না। একবার দেখতেও আসেনি তারা। এদিকে বৃদ্ধার কোনো স্বজন সঙ্গে না থাকায় হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না তিনি। অসহায় এই বৃদ্ধার নাম করিমন বেগম। বয়স ৯৫ বছর।
গতকাল বুধবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, বৃদ্ধা করিমন দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গা রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রাজেমুদ্দিনের স্ত্রী। বড় মেয়ে জলিমন, মেজ ছেলে তাজেল ও ছোট ছেলে জসিম উদ্দিন সাড়ে সাত মাস আগে অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ফেলে চলে যায়। তারপর থেকে কোনো খোঁজ নেয়নি সন্তানরা।
হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় করিমনের সঙ্গে। অশ্রæভেজা চোখে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভোরের কাগজকে বলেন, বাবা আমার কোনো ছেলে সন্তান নাই। তোমরাই আমার বাবা-মা, আমার ছেলে সন্তান। আমারে কেউ দেখতে আসে না। তোমরা আমারে বিষ এনে দাও। আমি বিষ খেয়ে মরে যাব। এ জীবনে আমি আর বাঁচতে চাই না।
এ বিষয়ে বৃদ্ধার বোনের মেয়ে আমেনা বলেন, খালা ৬ মাস ভর্তি থাকার পর আমি দেড় মাস আমার

বাড়িতে নিয়ে রাখি। সেখান থেকে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যায়। কোমরে ব?্যথা পেয়ে হাঁটতে পারেন না। ছেলেমেয়েরা তাকে দেখে না। আমি আর কত দিন দেখব। আমারও সংসার আছে। পরে বাধ্য হয়ে আমি আবার হাসপাতালে ভর্তি করে চলে আসি।
হাসপাতালের নার্স আফরিনা বলেন, এই বৃদ্ধা গত ২৯ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার পর থেকে একাই থাকেন, কেউ তাকে দেখতে আসে না। তিনি বিছানায় প্রস্রাব-পায়খানা করেন। কেউ সহযোগিতা করে না।
হাসপাতালের কর্তব?্যরত ডাক্তার মর্জিনা আব্দুল্লাহ বলেন, বৃদ্ধার পা ভেঙে গেছে, কোমরে আঘাত পাওয়ায় হাঁটতে পারেন না। স্বজনরা তাকে দেখতেও আসে না। নার্সরা যতটুকুু পারেন করার চেষ্টা করছেন।
স্বাস্থ?্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহাউদ্দিন বলেন, করিমন আমাদের হাসপাতালে প্রায় ৭ মাস ধরে ভর্তি আছেন। ভর্তি হওয়ার পর থেকে তার ছেলে ও মেয়েরা কোনো খোঁজখবর নেয় না। কে তাকে গোসল করাবে, কে তাকে বাথরুমে নেবে, কে বা তাকে ভাত খাওয়াবে। কোনো সহৃদয় ব?্যক্তি যদি তার দায়িত্ব নিত ভালো হতো। এ মুহূর্তে তার পাশে আত্মীয়স্বজন থাকা প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়