সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

মুরাদ দম্পতির ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র নিল পুলিশ : স্ত্রীর জিডি তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিরাপত্তাজনিত কারণে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের লাইসেন্স করা ২টি অস্ত্র ও তার স্ত্রীর লাইসেন্স করা একটি অস্ত্র জমা নিয়েছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। স্ত্রীকে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় হওয়া জিডির সূত্র ধরেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল রবিবার ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওসি বলেন, যেহেতু ডা. মুরাদের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে একটি জিডি করেছেন, তাই তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ডা. মুরাদের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্রগুলো থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। থানার নির্দেশনা মোতাবেক গত শনিবার তিনি এসে ২টি অস্ত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া ডা. মুরাদের স্ত্রীকেও তার লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা দেয়ার কথা বললে তিনিও শনিবার অস্ত্র জমা দিয়ে গেছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনে তিনটি অস্ত্র জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে একটি পিস্তল ও দুটি শটগান। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জিডিতে নিরাপত্তাজনিত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তাই আমরা অস্ত্রগুলো জমা নিয়েছি। বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের অস্ত্রগুলো থানায় জমা থাকবে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি নেতা তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে ফোনে ধর্ষণের হুমকি দেয়ার অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। এরপর তাকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। বিতর্কের মুখে দেশ ত্যাগ করলেও কানাডায় ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তারপর থেকেই আড়ালে রয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান।
মুরাদের স্ত্রীর জিডি তদন্তের নির্দেশ : সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ধানমন্ডি থানায় তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
শনিবার জিডিটি তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার সাব-ইন্সপেক্টর রাজিব হাসান। আদালতের নথি দেখে তদন্তের নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার (নন-জিআরও) কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ফুয়াদ উদ্দিন।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান ডা. মুরাদের স্ত্রী জাহানারা এহসান। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মুরাদ হাসান বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ধানমন্ডি থানায় হাজির হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জাহানারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়