পরিকল্পনামন্ত্রী : দেশে রাজনীতিবিদের চেয়ে আমলাতন্ত্রের দাপট বেশি

আগের সংবাদ

শ্যামল দত্ত’র প্রত্যয় : চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাবে ভোরের কাগজ

পরের সংবাদ

নতুন বছর ক্রীড়াঙ্গনের জন্য হবে চ্যালেঞ্জিং : রকিবুল হাসান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি বা ইংরেজি বছরের ক্যালেন্ডার থেকে ২০২১ সালের বিদায় এবং ২০২২ সালের আগমন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রায় সব কিছু ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী হয় বলে দেশ-বিদেশে প্রায় সর্বত্রই গ্রেগরিয়ান। আজ ২০২২ সালের প্রথম দিন। অসীমের পানে মহাকালের যে যাত্রা, সেখানে সূচিত হলো আরেকটি মাইলফলক। এই যে মহাকালের যাত্রা, সেখানে একেকটি বছর আসে নতুন উদ্দীপনা ও প্রেরণা নিয়ে। আমরা মুছে ফেলি গত হয়ে যাওয়া বছরের গøানি; উৎসাহ খুঁজে পাই সুখকর ঘটনাগুলো থেকে, তারপর এগিয়ে যাই অগ্রগতির দিকে। ২০২১ সাল বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য ভালো-মন্দ মিশানোই ছিল।
নববর্ষ পালনের উদ্দেশ্য হলো নতুন উৎসাহ, নতুন প্রেরণা, নতুন আশা, নতুন স্বপ্নে জীবনকে শুরু করা; যা দেশ, সমাজ তথা বিশ্বের জন্য বয়ে আনবে কল্যাণ। নতুন বছরটা ক্রীড়াবিদ আর ক্রীড়া সংগঠকদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। মহামারিতে অনেক কঠিন একটা সময় পার করছি আমরা। ক্রীড়াঙ্গনে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এই বছরের নির্ধারিত খেলাগুলো তো আছেই। যে কারণে অনেক ব্যস্ত থাকবে ক্রীড়াঙ্গন, সেটা ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সূচি মিলিয়েই। অনেক বেশি খেলা থাকায় প্লেয়ারদের ফিটনেসের দিকে বাড়তি নজর রাখতে হবে। এ অবস্থায় ক্রীড়া সংগঠকদের হতে হবে অনেক বেশি আন্তরিক।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২ ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৯ জানুয়ারি। ২০২২ সালে অন্তত ৬১টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ দীর্ঘ সময় জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলায় অংশ নেয়া বেশ কঠিন। খেলোয়াড়দের ফর্ম-ফিটনেস নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। করোনা মহামারিতে ফর্ম-ফিটনেস ধরে রাখা অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত ম্যাচগুলো খেলে নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেই ক্রিকেটাররা ব্যস্ত হয়ে পড়বেন বিপিএল নিয়ে। বিপিএল শেষ হওয়ার পর পরই বাংলাদেশ সফরে আসবে আফগানিস্তান। ফেব্রুয়ারি-মার্চে তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলবে উভয় দল।
এই সিরিজ শেষেই দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। মার্চ-এপ্রিলে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে ফিরেই ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অংশ নেবে মুমিনুল বাহিনী। এরপর মে মাসে তিন ওয়ানডে খেলতে আয়ারল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ দল।
সেখান থেকে দেশে না ফিরে সরাসরি ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবে টাইগাররা। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে উড়াল দেবে জিম্বাবুয়ে। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ। এবারের আসর অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়। বেশ কয়েকবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে শিরোপা জিততে পারেনি টাইগাররা। এবার শিরোপা জয়ের চ্যালেঞ্জ লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। ২০১৮ সালে মেয়েরা এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে। এশিয়া কাপ শেষে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে এক টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি রয়েছে। অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। গত বছর আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশ করেছেন মুশফিক-রিয়াদরা। এবারের বিশ্বকাপ তাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি তামিম ইকবাল। এবার তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিসিবি। বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরে নভেম্বর-ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
করোনার দুঃসহ স্মৃতি ভুলে এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি শুরু বিশ্ব। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে খেলা রাখা আয়োজকদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। ফুটবলে মেয়েরা ঘরের মাঠে ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জিতেছে। ছেলেরা ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা নিদিষ্ট গন্ডিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে ফুটবলারদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, ফুটবলের আধুনিক কলাকৌশল রপ্ত করতে হবে। ফুটবলের অবকাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। হকি, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, কাবাডি, হ্যান্ডবল ফেডারেশন গত বছর বেশ কিছু টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য পেতে হলে অনুশীলনের বিকল্প নেই। করোনা কবে দুনিয়া থেকে বিদায় নেবে, তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল। তাই ক্রীড়াবিদদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। দেশসেরা অনেক ক্রীড়াবিদ গত বছর ছিলেন ঘরবন্দি। মাঠের মানুষদের আর ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছে না। তাদের প্রত্যাশা নতুন বছরে নিয়মিত মাঠে খেলা থাকুক। সবাই ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক। করোনা মহামারি কেটে যাক, সব কিছু স্বাভাবিক হোক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়