বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

রেমিট্যান্স কম হলেও চিন্তার কিছু নেই : ড. মোস্তাফিজুর রহমান সম্মানীয় ফেলো, সিপিডি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মরিয়ম সেঁজুতি : অস্বাভাবিক সময়ে কয়েকটি কারণে অস্বাভাবিকভাবে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়েছিল। তার সঙ্গে তুলনা করে প্রবাসী আয় কমেছে বলে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। ভোরের কাগজকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, করোনাকালীন অনেক প্রবাসী তাদের সঞ্চয় দেশে পাঠিয়েছেন অথবা সঙ্গে করে নিয়ে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু এটি এককালীন ঘটনা। বর্তমানে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে জানিয়ে ড. মোস্তাফিজুর বলেন, অন্যতম কারণ হচ্ছে- করোনা মহামারির সময় যারা বিদেশ থেকে চলে এসেছে, গত অর্থবছরে তারা তাদের সব সঞ্চয় নিয়ে এসেছিল। দ্বিতীয়ত, সেসময়ে প্রবাসীদের পরিবারে অর্থের প্রয়োজন বেশি পড়েছিল। এজন্য বেশি টাকা পাঠিয়েছেন। আর তৃতীয়ত, আলোচিত সময়ে ট্রাভেল, ট্যুরিজম, ট্রেড- এগুলোও সব বন্ধ ছিল। এজন্য অবৈধ চ্যানেলে না পাঠিয়ে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, বর্তমানে রেমিট্যান্স কম আসার যেসব কারণগুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- তাদের যে জমানো টাকা পরিবারের জন্য পাঠিয়েছিল সেটাতো ওয়ান টাইম ছিল। তাদের এত জমানো নেই যে প্রত্যেক বছর বেশি বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠাবে। দ্বিতীয়ত, যারা একবারে টাকা নিয়ে চলে এসেছিল, তাদের তো আয় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার নতুন করে মানুষ যেতে শুরু করেছে। তাই টাকা খরচ করছে। তৃতীয়ত, আমরা মনে করি, এখন যেহেতু ট্রেড, ট্যুরিজম, ট্রাভেল শুরু হয়েছে তাই রেমিট্যান্সের একটা অংশ আবার অবৈধপথে চলে যাচ্ছে। চতুর্থত, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে দুই শতাংশ প্রণোদনা দিয়েও সে পাচ্ছে ৮৭ টাকা। আর অবৈধভাবে কার্ব মার্কেটে ৯০ টাকার উপরে। ৩-৪ টাকা পার্থক্যের কারণেও ইনফরমালভাবে চলে যাওয়ার একটা প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই জানিয়ে ড. মুস্তাফিজ আরো বলেন, আমাদের তুলনা করা উচিত করোনা মহামারির শুরুর আগে রেমিট্যান্স কত ছিল। আগের বছর ১৮ বিলিয়ন ছিল, পরবর্তী সময় গত বছর প্রায় ২৫% চলে আসে। তাই গত বছরের থেকে যদি কম হয় সেটা নেতিবাচকে হলেও আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেশি। তবে মানুষ আবার বিদেশে যাওয়া শুরু করেছে। গত অক্টোবরে প্রায় ৬০ হাজার প্রবাসী দেশ ছেড়েছেন। আগামীতে সেটার একটা ভালো ফলাফল আসবে বলে মনে করি। এ কথা ঠিক, রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় আমাদের রিজার্ভের ওপরে একটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে। কার্ব মার্কেটেও চাপ পড়েছে, তবে তা ক্ষণস্থায়ী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়