গুলশানের ইউনিমার্ট ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

আগের সংবাদ

ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা অর্থনীতি

পরের সংবাদ

সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার সিদ্ধান্ত : হিন্দু মহাজোটের বক্তব্য কৌতুককর, রহস্যজনক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গত ১৯ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের দেয়া বক্তব্যকে একদিকে ‘কৌতুককর’, অন্যদিকে ‘রহস্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা।
গত শনিবার বিকালে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঐক্যমোর্চার সভায় এ মন্তব্য করা হয়। ঐক্যমোর্চার প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট রানা দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন কাজল দেবনাথ, জে. এল. ভৌমিক, এড. তাপস কুমার পাল (ঐক্য পরিষদ), মিলন কান্তি দত্ত (বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ), নির্মল রোজারিও, ভিক্টর রে (বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন), ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় (বাংলাদেশ বুদ্দিস্ট ফেডারেশন), অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস (জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি), জগৎগুরু গৌরাঙ্গ দাস, চিন্ময় গদাধর দাস (ইস্কন), পলাশ কান্তি দে, রূপম রায়, সুব্রত মন্ডল (শুভ), শ্যামল কুমার রায় (জাতীয় হিন্দু মহাজোট), রাজকুমার দাস (ঋষি পঞ্চায়েত ফোরাম), প্রশান্ত কুমার রায়, সাগর সাধু ঠাকুর (বাংলাদেশ মাতুয়া মহাসঙ্গ), তাপস বৈরাগী (বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসঙ্গ) প্রমুখ।
সভার প্রস্তাবে বলা হয়, প্রতিক্রিয়াশীল মহলের ইন্ধনে দীর্ঘকাল হিন্দুদের আবেগকে পুঁজি করে সংকীর্ণ স্বার্থ চরিতার্থের অসৎ উদ্দেশ্যের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের একাংশের নামে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পৃথক নির্বাচনের দাবিদার, মেকী হিন্দুত্ববাদ প্রচারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যিনি বিগত দুই দশক লিপ্ত, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক ধারায় মানবাধিকার আন্দোলনরত বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে ‘সরকারি লেজুর’ সংগঠন ও নেতৃত্বকে ‘সরকারি দালাল’ বলতে যার বিবেকে বাধে না সেই গোবিন্দ প্রামাণিকের হঠাৎ করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ইতোপূর্বে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় দেয়া বক্তব্যকে ‘কৌশলগত বক্তব্য’ উল্লেখ প্রকৃত অর্থে ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ এ প্রবাদটির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, ঐক্য পরিষদ ও সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চাভুক্ত সংগঠনগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় রাষ্ট্রীয় মৌলনীতির আলোকে দেশ ও জাতির সামগ্রিক স্বার্থ বিবেচনার অংশ হিসেবে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নানান কর্মসূচির মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরে আসছে এবং এ থেকে উত্তরণে সম্ভাব্য করণীয় বিষয়ে নানান দাবি রাষ্ট্র, সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে উপস্থাপন করে চলেছে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি দৃঢ়করণের স্বার্থে।
এর সঙ্গে কথিত রাষ্ট্র বিরোধিতার কোনো সম্পর্ক নেই, যা আছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও চলমান গণতান্ত্রিক ধারাকে এগিয়ে নেয়ার সম্পর্ক। সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গত ২৮ অক্টোবরের প্রদত্ত বিবৃতির ব্যাখ্যা জাতি তার কাছ থেকেই আশা করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়