গুলশানের ইউনিমার্ট ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

আগের সংবাদ

ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা অর্থনীতি

পরের সংবাদ

ঈশ্বরদীর ৭ ইউপিতে প্রচারণা : মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমের শব্দে জনজীবন অতিষ্ঠ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হচ্ছে জনজীবন। এতে কানের রোগীসহ এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষার্থীরা বেশি বিপাকে পড়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর ৭টি ইউপিতে ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৫৩ জন সাধারণ সদস্য ও ৬৫ জন সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তারা মাইকে প্রচার চালাচ্ছেন।
নিয়ম অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩টি মাইক ব্যবহার করলে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৭টি ব্যবহার করছেন এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থীরা ১টি করে ব্যবহার করলে ৩১৮ জন প্রার্থী ৩১৮টি মাইক ব্যবহার করছেন। এ হিসাবে ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা একাধারে ৩৪৫টির অধিক মাইক দিয়ে প্রার্থীদের প্রচার চালানো হচ্ছে। দুপুর ২টার আগে থেকেই প্রার্থীদের সমর্থকরা মাইকে প্রচারের প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন। অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীর একই সড়কে অটোরিকশায় ১০ থেকে ১৫টি প্রচার মাইক চলে। যদিও জনসাধারণ, শিক্ষার্থীরা শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে ওই সময়টুকু দুই হাত দিয়ে কান চেপে ধরতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এসব কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এসএসসি পরীক্ষার্থী মাশফিক ও রূপক জানায়, আমাদের ছোট্ট এই গ্রামে ১৪-১৫টি মাইক কখনো একসঙ্গে, আবার কখনো একটির পর একটি আসতেই থাকে। এতে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। মাইকের যন্ত্রণাদায়ক শব্দে পড়াশোনা করতে ইচ্ছে করে না। মাইকিংটাকে সীমিত করে দেয়া উচিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খান বলেন, সহনীয় মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত শব্দ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণে শ্রবণশক্তি (বিশেষ করে শিশুদের) লোপসহ উচ্চ রক্তচাপ, মাথা ধরা, খিটখিটে মেজাজ, বিরক্তিসহ নানা মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা পি এম ইমরুল কায়েস বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় তিনটি ও সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত প্রার্থীদের একটি করে মাইক ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। তবে নির্বাচনে কত ডেসিবেল শব্দে মাইক বাজানো যাবে এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় প্রার্থীদের আমরা মৌখিকভাবে উচ্চ শব্দে মাইক না বাজানোর নির্দেশনা দিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়