গুলশানের ইউনিমার্ট ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

আগের সংবাদ

ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা অর্থনীতি

পরের সংবাদ

বাবার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা : গণধোলাইয়ের পর গ্রেপ্তার পাঁচ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ল²ীপুর প্রতিনিধি : ল²ীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের দক্ষিণ নুরুল্ল্যাহপুর এলাকা থেকে বাবার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে নবম শ্রেণিতে পড়–য়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ নুরুল্ল্যাহপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরো চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল রবিবার সকালে এ মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে পুলিশ ওই মামলায় আটককৃত পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রাসেল ইসলাম, আরিফ হোসেন, শাওন ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও মোরশেদ আলম। তাদের সবার বাড়ি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে।
পুলিশ এবং ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান, জাফরপুর ফাতেহা মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী লাকি আক্তার। দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা আসা-যাওয়ার পথে বসুদৌহিতা এলাকার মো. আলীর ছেলে মো. রাসেল ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করত। এর একপর্যায়ে মেয়েকে মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ করে দেন স্বজনরা।
পরে এর জের ধরে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাসেলের নেতৃত্বে তিনটি সিএনজি করে ১৫-১৬ জনের একদল সন্ত্রাসী ওই শিক্ষার্থীর ঘরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শিক্ষার্থীকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। পরে চরশাহীর দীঘিরপাড় এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয়রা ঘেরাও করে পাঁচ অপহরণকারীকে অস্ত্রসহ আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
শিক্ষার্থীর বাবা আলাউদ্দিন জানান, বাড়িতে অনেক মেহমান ছিলেন। রাতের খাবার শেষে সবাই চা খাচ্ছিলেন। সাড়ে ১০টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাড়িতে ঢুকে পড়ে। অস্ত্রের মুখে আমার মেয়েকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের আটক করে গণধোলাই দেন। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, অস্ত্রের মুখে মেয়েকে অপহরণ করার সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি ও ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, পাঁচ অপহরণকারী ছাড়াও ঘটনার সঙ্গে আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এ ঘটনায় অপহরণ ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসার জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়