তিনজন গ্রেপ্তার : কৌশলে পানের ভেতর ইয়াবা পাচার

আগের সংবাদ

শূন্য থেকে মহাশূন্য জয় : ডিজিটাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ : চলে গেলেন ‘রাঢ় বাংলার মুগ্ধ চিত্রকর’ হাসান আজিজুল হক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তিনি ছিলেন এ যুগের বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র। রাঢ় বাংলার অনন্য এক মুগ্ধ চিত্রকর। যার কলমে চিত্রায়িত হতো জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের ছবি। যে ছবির পরতে পরতে ছিল অন্তর্ভেদী দৃষ্টি। সেই তিনি চলে গেলেন দৃষ্টিসীমার ওপারে! বলছিলাম বহুমাত্রিক ও বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের কথা। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় এই কথাশিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। রাতে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সাহিত্য অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাতেই এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, হাসান আজিজুল হকের মৃত্যু দেশের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উন্নয়নে হাসান আজিজুল হকের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
পৃথক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হাসান আজিজুল হক তার সাহিত্যকর্ম ও সৃজনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উভয়েই মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়া সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদও হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন হাসান আজিজুল হক। বাথরুমে পড়ে কোমরে ব্যথা পাওয়ার পর বছরের মাঝামাঝি থেকে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। এর মধ্যে নিউমোনিয়া ও হার্টের সমস্যা দেখা দিলে গত আগস্টে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় এনে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রায় তিন সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ৯ সেপ্টেম্বর তাকে রাজশাহীতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। সেখানে বাসায় রেখেই তার চিকিৎসা চলছিল।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ৩১ বছর অধ্যাপনা করেন। এরপর থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে নগরের চৌদ্দপায় এলাকার আবাসিক এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
হাসান আজিজুল হকের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান জানিয়েছেন, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়